৯ মাস পর নতুন ডেঙ্গু রোগী নেই ২৪ ঘণ্টায়
১৬ জানুয়ারি ২০২০ ২৩:৪৪
ঢাকা: ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছিল অতীতের সকল রেকর্ড। অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে রোগীর সংখ্যা কমে আসতে থাকে। তারপরও দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত নতুন রোগী। দীর্ঘ ৯ মাস পর সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছে। ১৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ১৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ে দেশের কোথাও নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হননি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. আয়শা বলেন, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা গত ৯ মাসে প্রথমবারের মতো শূন্যে নেমে এসেছে। ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে রোগীরা। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হননি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে এসে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা একেবারেই কমে আসে। জানুয়ারির বেশিরভাগ দিনেই একেকদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত নতুন রোগী ছিল এক অঙ্কে। এ বছরের প্রথম ১৫ দিনে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হন ১৪৫ জন। তবে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে কোনো নতুন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়নি।
অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ২৬ জন এবং ঢাকা মহানগরীর বাইরে তিন জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এক লাখ এক হাজার ৩৪৪ জন। এই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ এক হাজার ৩৭ জন। অর্থাৎ ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে, ২০২০ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর তথ্য না মিললেও ২০১৯ সালে ১৬৪ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির কাছে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৬৬টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে পর্যালোচনা করে ডেথ রিভিউ কমিটি ১৬৪টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করে।