চীনের ভাইরাসে আক্রান্ত বহু, প্রতিবেশীদের শঙ্কা বাড়ছে
১৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:৫১
চীনের একটি ‘রহস্যময়’ ভাইরাসে বহুসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে আশংকা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে চীনের বাইরে থাইল্যান্ডে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ জানায়, গত বুধবার থাইল্যান্ডে এক ৬১ বছর বয়েসি নারী জ্বর ও শ্বাসপ্রশ্বাসের জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে পরীক্ষায় চীন থেকে আসা এই নারীর শরীরে ওই রহস্যময় ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ ঘটনা চীনের বাইরে এই ভাইরাসে আক্রান্তের প্রথম কোনো ঘটনা। ইতিমধ্যে চীনে হবন প্রদেশে দুইজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। চীনের এ প্রদেশটি থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে।
চীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৪১ জনের শরীরে এ নতুন ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের দাবি, এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি। অন্তত ১ হাজার ৭০০ জনের শরীরের এ ভাইরাস ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন রোগপ্রাদূর্ভাব বিষয়ক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক নেইল ফার্গুসন।
এমন খবরে আতংক সৃষ্টি হয়েছে চীনের বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশে। দেশটিতে যেসব নাগরিক ভ্রমণে যাচ্ছেন তাদের স্বাস্থ নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থবিভাগ। ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর ও হংকং চীনের হবন প্রদেশ থেকে আগত প্রত্যেক যাত্রীর বিশেষ স্বাস্থ পরীক্ষা শুরু করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সসিকো, লস এঞ্জেলস ও নিউইয়র্কের বিমানবন্দরেও একইভাবে চীন থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী নেইল ফার্গুসন বিবিসিকে বলেন, চীনের বাইরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি প্রমাণিত হওয়ায় এখন আমি আরও বেশি উদ্বিগ্ন। এর অর্থ হলো, চীন থেকে যারা বাইরের দেশগুলোতে যাচ্ছেন, তারা এই ভাইরাস বহন করতে পারেন।
এদিকে এ ভাইরাসটি করোনা ভাইরাস বলে জানিয়েছে চীন। এমন ভাইরাস আক্রান্তরা ঠাণ্ডাজনিত রোগ, জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভোগেন। এমনকি এ ভাইরাস আক্রান্তদের জন্য মৃত্যুরও কারণ হতে পারে বলে জানা যায়। চীন জানিয়েছে, এ ভাইরাসটি প্রাণী দেহ থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে।