চর্চা না করলে জ্ঞান নষ্ট হয়ে যায়: ইয়াফেস ওসমান
১৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৪৪
ঢাকা: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, জ্ঞান হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শক্তি। চর্চা না করলে জ্ঞান নষ্ট হয়ে যায়। যে বাঙালি লাঙ্গল চালানো ছাড়া আর কিছুই জানত না, সেই হাতে এখন ল্যাপটপ, স্মার্টফোন। বাংলাদেশকে আর থামানো যাবে না। আমরা মহাকাশ জয় করেছি, দারিদ্র জয় করছি, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আমরা চালু করতে যাচ্ছি। আমরা ২০২১ সালে প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কার ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী চলমান ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’ এবং সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত এই মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হচ্ছে যান্ত্রিক এবং সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো হচ্ছে মানবিক। যন্ত্র মানুষের জন্য কিন্তু যন্ত্রের জন্য মানুষ নয়। জ্ঞানই হচ্ছে সভ্যতার নতুন শক্তি। জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ ডিজিটাল সাম্য সমাজের দিকে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে এমন কোনো এলাকা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে ব্রডব্যান্ড সংযোগ থাকবে না। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ-এর সঞ্চালনায় বিটিআরসি’র এসএস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল আলম অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সাবেক সচিব শ্যামসুন্দর শিকদারসহ অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মেলার শেষ দিনে মন্ত্রী এবং সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা, ভবিষ্যত বাংলাদেশের চালিকাশক্তি, উন্নত সেবা প্রদানে ডিজিটাল সরকার, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস এবং ডিজিটাল ব্রডকাস্টিং, প্রেক্ষিত বাংলাদেশ, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল প্রযুক্তি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় বৃহস্পতিবার এই মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় আইএসপিসহ ৮২টি প্রতিষ্ঠান, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল-প্লে (এক ক্যাবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ), মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করছে। ওয়ালটন, স্যামসাং ও সিম্ফনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করছে।
এছাড়া দেশি সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করছে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) দেখাচ্ছে। এছাড়া জেডটিই, হুয়াওয়ে, নোকিয়া, এরিকসন ফাইভ-জি প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। দেখাবে লাইভ ব্যবহারের উপযোগিতা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টেলিমেডিসিন ও এটিএম সেবা দেখাচ্ছে। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ভিশন মেলার মাধ্যমে টেলিমেডিসিন প্রদর্শীত হচ্ছে। মেলায় লাইভ দেখা যাচ্ছে ফাইভ-জি।
মেলায় ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনিপ্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সব সংস্থা- এতে অংশ নিয়েছে।