হত্যা মামলার আসামিকে ‘তুলে নিয়ে হত্যা’
২১ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৫২
মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার সদরের হিলালপুর এলাকায় রাজন মিয়া (৩৩) নামের এক ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা তুলে নিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার পর রাজনের মরদেহ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফেলে রেখে যায় তারা। একটি হত্যা মামলার আসামি রাজন মিয়া জামিনে ছিলেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মৌলভীবাজারের হিলালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজন মিয়া সদর উপজেলার বুদ্ধিমন্তপুর এলাকার আশিক মিয়ার ছেলে। তবে শহরের সুলতানপুর এলাকায় বসবাস করতেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে শহর থেকে বুদ্ধিমন্তপুরে বাড়িতে যাওয়ার পথে শহরতলীর বালিকান্দি খেয়াঘাট এলাকা থেকে রাজনকে অপহরণ করা হয়, পরে তাকে হত্যা করা হয়। তার লাশ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আহমদ ফয়সাল জামান সাংবাদিকদের জানান, সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ৯টা ২০ মিনিটের মধ্যে চার ব্যক্তি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে একজনকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে দেখা যায়, ওই যুবক মারা গেছেন। আমরা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি, তবে কারও চেহারা স্পষ্ট বোঝা যায় না। পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করবে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি— শহরতলীর বালিকান্দি খেয়াঘাট থেকে রাজনকে অপহরণ করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে রাজনের মরদেহ মৌলভীবাজার সদর হাসপালে রেখে খুনিরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পেছনে কারা আছে, তা জানতে চেষ্টা করছে পুলিশ।
ওসি আলমগীর বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে রাজন মিয়ার মরদেহ এরই মধ্যে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
জানা যায়, নিহত রাজন মৌলভীবাজার শহরের হিলালপুরে এলাকার পীর আজাদের ছোট ভাই রুবেল হত্যা মামলার এজহারভুক্ত ৮ নম্বর আসামি ছিল।