Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আগে রেলে পণ্য পরিবহন হতো ৩০-৩৫ ভাগ, এখন হয় ১০ ভাগ’


২২ জানুয়ারি ২০২০ ১০:২৭

নিউইয়র্ক: রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ১৯৯১-৯২ সালের দিকে দশ হাজার রেল কর্মকর্তাকে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছিল বিএনপি সরকার। এরপর থেকে রেলে নতুন কোনো নিয়োগ হয়নি। ফলে দক্ষ জনবলের সংকট রয়েছে রেলওয়েতে। আগে যেখানে রেলে পণ্য পরিবহন হতো ৩০-৩৫ ভাগ, এখন তা ১০ ভাগে নেমে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশের নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জামাইকার একটি পার্টি হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মিল্টনের সঞ্চালনায় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ট্রেনের গতি বাড়ানোর জন্য উত্তরবঙ্গবাসীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আঞ্চলিক ভাষায় রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রেন চলবে তো লাইনের ওপর দিয়া। সেই লাইনেই যদি না থাকে ট্রেন কার মধ্যে চলিবে। বর্তমানে বাংলাদেশের ট্রেনের গড় গতিবেগ ৬০ কিলোমিটার। গতিবেগ আরও বাড়াতে হলে রেললাইনের সংস্কারসহ ডুয়েলগেজ বসাতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর রেললাইন উপযুক্ত করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পদ্মা রেল লিংক প্রোজেক্টে ইলেকট্রিক রেল যাওয়ার সক্ষমতা তৈরি করা হচ্ছে। ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার রেলওয়ের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর পৃথক রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করে। বর্তমান সরকারের সময়ে নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প, ঢাকা-চট্রগ্রাম হাইস্পিড ট্রেন নির্মাণ প্রকল্পের মতো বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পগুলোর কাজ বাস্তবায়ন হলে রেলওয়েতে আমূল-পরিবর্তন আসবে।’

বিজ্ঞাপন

নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সময়ক্ষেপণও বাড়ছে। কারণ সিঙ্গেল লাইনেই চলে অধিকাংশ ট্রেন। যে কারণে একটি ট্রেন অন্য ট্রেনকে সাইড দিতে সময় বেশি লাগছে। তবে বিভিন্ন রুটে ডাবল লাইন হচ্ছে। এতে আগামীতে রেলে যাতায়াতে সময় সাশ্রয় হবে।’

তিনি বলেন, ‘রেলওয়েতে এখন প্রতিদিন ৮৮টি আন্তঃনগর ট্রেন, ১২৬টি লোকাল ট্রেন, ১৩২টি মেইল এক্সপ্রেস ও ডেমু ট্রেন এবং ৪টি আন্তঃদেশীয় ট্রেনসহ সর্বমোট ৩৫০টি ট্রেন পরিচালিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর, ২৭০টি কোচ এবং ইঞ্জিন আমদানির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১১৬টি নতুন ট্রেন প্রবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে আরও প্রায় সাতশ কোচ এবং ইঞ্জিন আমদানি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়া ই-টিকেটিং এবং অনলাইন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে যাত্রীদের টিকেট ক্রয় সহজ করা হয়েছে।’

রেলমন্ত্রী সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র এসেছেন। গত ১৪ জানুয়ারি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে শিকাগো সিটি সংলগ্ন এলাকায় ‘প্রোগ্রেস রেল’র কারখানা পরিদর্শন এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই উন্নত প্রযুক্তির ৪০টি লোকোমোটিভ (রেল ইঞ্জিন) বাংলাদেশে সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন তিনি। ২০২১ সালের মার্চ থেকে পরের বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এগুলো বাংলাদেশে সরবরাহের কথা রয়েছে।

এদিকে রেলমন্ত্রীকে দেওয়া সংবর্ধনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র আ. লীগের সাবেক উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান, নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ডা. চৌধুরী মঞ্জুরুল হাসান, পঞ্চগড় জেলা সমিতির সহ-সভাপতি দবিরুল ইসলাম, নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম টুকু, নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী এইচ এম শহীদ, নিউইয়র্কস্থ দিনাজপুর জেলা সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন, দিনাজপুর জেলা সমিতির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. নার্গিস রহমান, নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহর খান প্রমুখ।

নিউইয়র্ক নুরুল ইসলাম সুজন যুক্তরাষ্ট রেলমন্ত্রী সংবর্ধনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর