বাংলাদেশে এখন ভয়ের চাষ হচ্ছে: মান্না
২৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:৪৩
ঢাকা: বাংলাদেশে এখন ভয়ের চাষ হচ্ছে বলে মনে করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না। দেশের মধ্যে অপশাসন, দু:শাসন, কুশাসকের বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা কারও নেই বলেও মন্তব্য তার।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে যুব জাগপা নেতা মাসুদ রায়হানের স্মরণে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠান বিদ্রোহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
মান্না বলেন, ‘আগে দেশ রক্ষায় সাধারণ জনগণ যেভাবে বক্তৃতা দিয়েছে, বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে কথা বলেছে, পাকিস্তানের স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে যেভাবে কথা বলেছে এখন দেশের মধ্যে অপশাসন, দু:শাসন, কুশাসকের বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা কারও নেই। সারাদেশে এখন ভয়ের চাষ হচ্ছে।’
মানুষের বাক স্বাধীনতর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানের সরকারের কাছে আগে টকশো তিতা লাগতো, এখন মানুষের কাছে তিতা লাগে। পাঁচ বছর আগে টকশো দেখার জন্য আগে থেকে মানুষ বসে থাকতো। এখন মানুষ শুনতে চায় না। বর্তমানের জেনারেশনের কথা বলি তারাতো টিভির কাছেই যেতে চাইনা, বরং তাদের কাছে মোবাইলের ফেসবুক অনেক ভালো।’
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল কিভাবে স্বৈরাচারী দল হয়ে গেছে সেটা আমরা দেখেছি। নির্বাচনের ৩০০ সিটির মধ্যে অর্ধেকের বেশি সিট আগে থেকেই নির্বাচিত হয়ে যায়। আজ জনগণ পরাজিত হচ্ছে। ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের কৌশলে পরিবর্তন করতে যাচ্ছে। ইভিএম তো মানুষ তৈরি করেছে তার নিজের কাজের জন্য। মানুষ যা বললে সে তাই করবে। দেখা যাবে আপনি তিনটা ভোট দিলেন দুইভোট ওদের পক্ষ চলে যাচ্ছে। যেটা নিয়ে যে আপনি চ্যালেঞ্জ করবেন, মামলা করবেন সেটারও সুযোগ নেই। কারণ আপনি কোনো রশিদ পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের আগে কত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। সেগুলোর কয়টা বাস্তোয়ন হয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটির বেশি শিক্ষিত বেকার রয়েছে। নির্বাচনের সময় সরকার বলেছে প্রতিবছর নতুন করে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু হচ্ছে না, শুধু পুলিশের নিয়োগ বেশি দেওয়া হচ্ছে। কারণ সরকার ক্ষমতা থাকতে হলে পুলিশের দরকার রয়েছে।
‘আমাদের আন্দোলনের কৌশল অবলম্বন করতে হবে। উঁচু নিচু দেখে সামনের দিকে এগুতেই হবে। যে কোনো সময় আন্দোলনের ডাক আসতে পারে।’ যোগ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, যুব জাগপার সভাপতি আরিফুল হক তুহিন, ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানসহ অনেকেই।