Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবিতে ‘অবৈধ দোকান’ উচ্ছেদে ছাত্রলীগ নেতাদের বাধা


২৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:৪৪

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শামসুন নাহার হলের সীমানার আশে-পাশের এলাকায় হল প্রশাসনের উদ্যোগে ‘অবৈধ দোকান’ উচ্ছেদ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছেন হলের ছাত্রলীগ নেতারা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হল প্রশাসনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শামসুন নাহার হল ছাত্র সংসদের উদ্যোগে উচ্ছেদ ও ছিন্নমূল মানুষদের অপসারণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নেতাদের বাধা দিতে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শামসুন নাহার হল ছাত্র সংসদের জিএস আফসানা ছাফার নেতৃত্বে হলসংলগ্ন ‘মিশুক মনির’ চত্ত্বরের আশেপাশের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে যায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হল সংসদের পাঠকক্ষবিষয়ক সম্পাদক বিশাখা দাস ইরার নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী উচ্ছেদে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের হল সংসদের পক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের গালাগালিসহ অশোভন আচরণ করতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে হল সংসদের জিএস আফসানা ছাফা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দোকানগুলো এখানে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করেছে। এসব দোকানের কারণে এখানে বিকেলবেলা বাজারে পরিণত হয়। এখানে বহিরাগত, মাদকসেবী ও ভবঘুরে লোকজন আড্ডা দেয়। ফলে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এ কারণে হল প্রাধ্যক্ষ ও স্টেট ম্যানেজার এসব দোকান অবৈধ বলে নোটিশ দিয়েছে। তাই আমরা স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে এসেছি।’ এ সময় তিনি এসব দোকান থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন।

অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতা বিশাখা বলেন, ‘আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এখানে এসেছি। দোকান সরিয়ে ফেললে শিক্ষার্থীরা খাবে কী? কার অনুমতিতে এগুলো সরানো হচ্ছে? দোকান উঠে গেলে আমরা নাস্তা করব কোথায়। হলের ভেতর বাড়তি দোকান দেওয়া ছাড়া এটা উচ্ছেদ হতে পারে না। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ শুরু করেন তিনি। এবং সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয় সাহা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এসব দোকান উচ্ছেদের ব্যাপারে হল সংসদ আগে থেকেই দাবি জানিয়েছিল। দোকানগুলোর কারণে এখানে বহিরাগতদের আড্ডা, গাড়ি পার্কিং ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। আমি দুই বছর যাবৎ বিভিন্নভাবে এসব উচ্ছেদ করার জন্য চিঠি দিয়ে আসছি। এ জায়গা স্টেট ম্যানেজারের দায়িত্বে। এটা আমার দায়িত্বে হলে আমিও সরিয়ে দিতাম।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত স্টেট ম্যানেজার সুপ্রিয়া দাস বলেন, ‘এটা হল প্রশাসনের দায়িত্ব। আমরা চিঠি দিয়ে তাদের অবহিত করেছি।’

এদিকে এস্টেট ম্যানাজের পাঠানো বিজ্ঞাপ্তিতে দেখা যায়, হলের আশে-পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহায়তায় এ দোকানগুলো অপসারণের অনুরোধ করা হলো।

অবৈধ দোকান উচ্ছেদ বাধা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর