ভাইরাল উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি চীনের নাগরিক
২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:০০
ঢাকা: রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে জ্বর ও কাশির মতো ভাইরাল উপসর্গ নিয়ে চীনের একজন নাগরিক ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি ভর্তি হন।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তবে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাস বহন করছেন কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসুস্থ হয়ে ভর্তি হওয়া চীনের সেই নাগরিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, তিনি এ মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ঢাকায় এসেছেন। তবে তিনি চীন থেকে এলেও উহান প্রদেশে ভ্রমণ করেননি বলেও জানিয়েছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে হাসপাতালের পৃথক কক্ষে রাখা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এদিকে সত্যিই তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না সে বিষয়ে আইইডিসিআর.বির পরিচালক ড. মীরজাদী সেবরিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আমরা শুনেছি চীনের একজন নাগরিক ভর্তি হয়েছেন। আমরা তার স্যাম্পল কালেকশন করে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। এরপরেই বলা যাবে তিনি করোনাভাইরাস বহন করছেন কি না? এর আগে কিছুই বলা সম্ভব না। তবে এটি নিয়ে কোনো ধরনের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
এর আগে, বিকেলে অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা সারাবাংলাকে বলেন, ‘২৭ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানার মেশিন ও হ্যান্ড স্ক্যানিং মেশিনের মাধ্যমে দুইহাজার ৪৭০ জন যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনো দেশে কোনো করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া যায়নি।’
উল্লেখ্য, চীনের উহান শহরের একটি মাছের বাজার থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। নিউমোনিয়া-সদৃশ এ ভাইরাসটি নতুন এক ধরনের করোনা ভাইরাস। নোবেল করোনা ভাইরাস, উহান করোনা ভাইরাস, উহান ফ্লু, উহান সি ফুড মার্কেট নিউমোনিয়া ভাইরাস ও উহান নিউমোনিয়া নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়েছে ভাইরাসটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে বলছে 2019-nCoV।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুসারে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় দুই হাজার ৮০০। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৮১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।