Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জলাবদ্ধতা ঠেকাতে নতুন খাল খনন করছে চসিক


২৮ জানুয়ারি ২০২০ ২০:২৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম নগরীতে একটি নতুন খাল খনন করছে সিটি করপোরেশন। খাল খনন শেষ হলে নগরীর প্রায় ১০ লাখ মানুষ জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্ত হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরীর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের ওয়াইজার পাড়া হাজী ফকির মো. সওদাগরের বাড়ির সামনে ফলক উন্মোচন করে খাল খনন কাজের উদ্বোধন করেন।

বিজ্ঞাপন

উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে মেয়র বলেন, ‘এই খাল খননের পর নগরের পূর্ব-পশ্চিম ষোলশহর, চান্দগাঁও, মোহরা, উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম বাকলিয়া ও চকবাজারে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এছাড়া এটি হবে নয়নাভিরাম একটি খাল। এখন বাকলিয়ার মানুষ অবসর বিনোদনের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেড়াতে যান। নতুন খাল খননের পর নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ নির্মল বাতাস ও সৌন্দর্য উপভোগের জন্য বাকলিয়ায় আসবে।’

তিনি বলেন, ‘খাল খননের জন্য যাদের ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে, তাদের টাকা যথাযথ প্রক্রিয়ায় মৌজা মূল্যের তিনগুণ নির্ধারণ করে পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে এক চুল পরিমাণ অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকবে না। কোনো ভূমি মালিকের কোনো ভবন যদি প্রকল্পের প্রস্তাবিত অ্যালাইনমেন্টের মধ্যে পড়ে, তবে তাদের গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’

প্রকল্প এলাকার ভূমি মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার ওপর ভরসা রাখুন। ক্ষতিপূরণের টাকা আপনারা যাতে দ্রুত পান, সেই ব্যবস্থা আমি করব।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জোবাইরা নার্গিস খান, হারুন উর রশিদ ও এম আশরাফুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লেফনেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, আনোয়ার হোসেন ও মনিরুল হুদা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালের জুনে চট্টগ্রাম নগরীর ‘বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের জুনে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সরকারি বরাদ্দ না পাওয়া, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু হতেই পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছর।

প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫৬ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। দেরিতে শুরু করার কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে ৯২৯ কোটি টাকা।

দুই দশমিক নয় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৬৫ ফুট প্রশস্ত এই খালের উৎপত্তি শুরু হবে নগরীর বারইপাড়া হাইজ্জারপুল থেকে। এরপর যমুনা স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টার, শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক অতিক্রম করে নূর নগর হাউজিং, ওয়াইজার পাড়া মাজার হয়ে বলিরহাটের বলি মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশবে। খালের দুই পাশে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

খনন খাল জলাবদ্ধতা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর