Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তরুণরাই সমাজের বড় কর্ণধার, তারাই দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী


৩০ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৩৬

ফাইল ছবি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এই তরুণ সমাজেই হবে সব থেকে বেশি কর্ণধার। যারা এ দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। আমরা মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি তাই এ মার্চ মাসটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেঁজগাও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সফল আত্মকর্মী ও যুব সংগঠনের মাঝে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ জাতির পিতা সেই আদর্শ নিয়েরাষ্ট্র পরিচালনা করার পদক্ষেপ নেই। দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমরা যে বিজয়ী জাতি, সেই বিজয়ী জাতি হিসাবে যেন বাঙালি মাথা উঁচু করে চলতে পারে, ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা এবং দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

‘আওয়ামী লীগের সব লক্ষ্যই হচ্ছে, এ দেশকে আরও উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা। স্বাধীনতার সুফল যেন বাংলার প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়। বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়। যেটি জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা চাই, আমাদের যুব সমাজ আত্মনির্ভরশীল হোক, আত্মমর্যাদাশীল হোক। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা যখনি সরকার গঠন করেছি, তখনই আমাদের যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি জানি আমাদের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা মেধাবী। কাজেই একটু স্বপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিলেই অনেক বড় বড় কাজ তারা করতে পারে, এ বিশ্বাস আমার আছে।’

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাবিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। বাংলাদেশ আজকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। এটি আমাদের ধরে রাখতে হবে। তাহলেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।’

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদে ডেল্টা প্ল্যানসহ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর এই তরুণ সমাজেই হবে সব থেকে বেশি কর্ণধার। যারা এই দেশকে নিয়ে যাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়া। ইনশাল্লাহ, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।’

২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করার তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মুজিববর্ষ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছি, এ মার্চ মাসটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই মার্চ থেকে শুরু করে ২০২১ সালের মার্চ; মুজিববর্ষ আমরা উদযাপন করছি। আমাদের তরুণ সমাজ; আমি সবাইকে আহ্বান করব যে, দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞা নিতে হবে এ বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলব এবং জাতির পিতার স্বপ্ন পুরণ করব।’

অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবির।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২৭ জন সফল আত্মকর্মী ও সংগঠকের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে আত্মকর্মী ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জনকারী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও সারাদেশে যুব নারী সংগঠক হিসাবে পারভীন আক্তারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ টপ নিউজ তরুণ সমাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর