জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে ভোট দিতে আসছেন ভোটাররা
১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:০২
ঢাকা: শুরু হয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কেন্দ্রগুলোতে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। একটানা এই ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকালে রাজধানীর সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। ভোটারদের হেঁটে বা রিকশায় ভোটকেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে। লাইন ধরে দাঁড়িয়ে তারা ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেছেন। প্রত্যেকেই হাতে রেখেছেন জাতীয় পরিচয়পত্র। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট দিচ্ছেন।
রাজধানীর সিটি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথমবারের মতো সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকে এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছেন। ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে মোট ৭৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী ১৩ জন, কাউন্সিলর পদে ৭৩৬ জন।
এর আগে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয় নির্বাচনি সামগ্রী।
ঢাকার দুই সিটির ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্রে মোট ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার ভোটের মাধ্যমে তাদের ১৭২ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। এর মধ্যে দুই মেয়র ছাড়াও আছেন ১২৯ জন কাউন্সিলর ও ৪৩ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কারণে রাজধানীতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল। কেবল নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা ইসির বিশেষ স্টিকারযুক্ত যানবাহনে চলাচল করতে পারছেন। এছাগা অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলে শিথীলতা রয়েছে। বিধি-নিষেধ অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই ১৭২জন প্রতিনিধি নির্বাচনের কর্মযজ্ঞকে সুষ্ঠু করতে দুই সিটিতে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৪৬৮ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১৪ হাজার ৪৩৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৮ হাজার ৮৬৮ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবস্থাপনায় সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ২৮০ জন সদস্য থাকছেন। সবমিলিয়ে দুই সিটির ভোটে ভোটগ্রহণ কমর্কতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৫১ হাজার ৫০ জন।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির সদস্য রয়েছেন ৪১ হাজার ৯৫৬ জন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে ১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৮ জন করে সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত ১২৯টি মোবাইল ফোর্সে আছেন এক হাজার ২৯০ জন, ৪৩টি স্ট্রাইকিং ফোর্সে আছেন ৪৩০ জন, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্সে রয়েছৈন ৫২০ জন। দুই সিটিতে র্যাবের টিম রয়েছে ১৩০টি।
এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের ১১ জনের একটি টিম দায়িত্ব পালন করছেন। এসব টিমে দায়িত্বরত আছেন মোট ১ হাজার ৪৩০ জন র্যাব সদস্য। এছাড়াও দুই সিটিতে র্যাবের ১০টি রিজার্ভ টিম রয়েছে, তাতে রয়েছেন ১১০ জন সদস্য।
এর বাইরে রিজার্ভসহ দুই সিটিতে ৭৫ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্বে পালন করছেন। প্রতি প্লাটুনে গড়ে ৩০ জন করে মোট ২ হাজার ২৫০ জন বিজিবি সদস্য থাকবেন ভোটের দায়িত্বে। এছাড়াও ৩০ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনি অপরাধ দমন ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুই সিটিতে রয়েছেন ১৭২ জন নির্বাহী ও ৬৪ জন বিচারিক হাকিম।
ইভিএম ডিএনসিসি ডিএসসিসি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ভোটগ্রহণ শুরু