দিনের শুরুতেই ভোট দিলেন আতিকুল-তাবিথ
১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:২৫
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম এবং বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল দিনের শুরুতেই ভোট দিয়েছেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া আটটার দিকে উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টরে নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন। এ সময় তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। এছাড়া সকাল ৮টা ৫মিনিটে গুলশান-২ নম্বরে আল মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন তাবিথ আউয়াল।
আতিকুল ইসলাম তার কেন্দ্রের প্রথম ভোটটিই দেন। এর পর তিনি বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল এই কেন্দ্রের প্রথম ভোটটি আমি দেবো। এসে জানতে পারি, এই কেন্দ্রে আমার সিরিয়ালই আগে পড়েছে। ইভিএমে ভোট দেওয়া খুবই সহজ। ইভিএম-এ ভোট দিতে পেরে আমি সন্তুষ্ট। আশা করি, জনগণ আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। জনগণ নৌকায় ভোট দিলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সাধ্যমত সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলব।’
নির্বাচনে হেরে গেলে ফলাফল মেনে নিবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে এক পক্ষ জিতবে আর এক পক্ষ হারবে। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। ফলাফল যাই হোক তা আমি মেনে নেব। যদি জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে তবে আমি চেষ্টা করব প্রতিপক্ষের ইশতেহারে যদি ভালো কিছু থাকে তা নিয়েও কাজ করে যাওয়ার। আর যদি আমি নির্বাচনে নাও জিততে পারি তবে সেক্ষেত্রেও আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে।’
এদিকে ভোট দেওয়ার পর বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমার মা যে ইভিএম মেশিনটিতে ভোট দিতে গিয়েছিলেন সেটি ব্রেকডাউন হয়ে গেছে। কোনো এক কারণে সেটা এখনও ঠিক করতে পারেনি। এছাড়া দিনের শুরুতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে শুনেছি। আমি সেগুলো কেন্দ্রে যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি এলাকায় নির্বাচন কমিশনের ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কথা। কিন্তু আমি কোনো ম্যাজিস্ট্রেট দেখিনি। মেশিন ব্রেকডাউন হয়েছে এখনও ঠিক হয় নাই। সার্বিক পরিস্থিতি যা দেখছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে আমরা হয়তো যাচ্ছি না। তারপরও আমি ভোটারদের আহ্বান জানাচ্ছি যে, আপনার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন। যেভাবেই হোক ভোটের মাধ্যমে আজ আমরা জয়লাভ করব।’
ঢাকা উত্তর সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। ৫৪টি সাধারণ ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএসসিসি গঠিত। এতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্রে ৭ হাজার ৮৪৬টি ভোট কক্ষ রয়েছে। ডিএনসিসি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব মো. আবুল কাসেম। তার সহযোগী হিসেবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রয়েছেন ১৮ জন।
ঢাকা উত্তর সিটিতে চূড়ান্তভাবে মেয়র পদে ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন— নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির তাবিথ আউয়াল, বাঘ প্রতীকে পিডিপি’র শাহীন খান, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফজলে বারী মাসউদ, কাস্তে প্রতীকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাজেদুল হক ও আম প্রতীক নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনিসুর রহমান দেওয়ান।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে ৫৪টি সাধারণ ও ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মোট ৩২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এর মধ্যে ৫৪টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।