ভারতের বাজেটে মধ্যবিত্তের সুখবর
১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:৫০
বিশ্বব্যাপী মন্দায় ভারতের অর্থনীতি নিম্নগামী। গত পাঁচটি ত্রৈমাসিকে জিডিপির হারও নিম্নমুখী। আশা করা হয়েছিল অর্থনীতির সুদিন ফেরাতে চমক দেখাবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তেমন কিছু ঘটেনি। তবে মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর হলো করের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে পার্লামেন্টে আসেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২ ঘণ্টা ৪১ মিনিট সময় নিয়ে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের দীর্ঘ বাজেট বক্তব্য পেশ করেন তিনি।
দ্বিতীয় বাজেট বক্তৃতায় আয়করের হারে উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর ঘোষণা করেন সীতারমন। নতুন আয়কর প্রস্তাবে ৫ লাখ ভারতীয় রুপি পর্যন্ত আয়ে কোনও কর নেই। ৫-৭.৫ লাখ পর্যন্ত আয়ে ১০% কর দিতে হবে। তবে যারা পুরনো হারে কর দিতে চান তারা তা পারবেন।
এবারে কর বাড়ছে, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ফুটওয়্যার, ফার্নিচার, সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য, স্টিলের পণ্য, যানবাহনের যন্ত্রাংশ, মোবাইল পণ্যের ওপর।
অপরদিকে কর কমছে, চিনি, পাস্তুরিত দুধ, সোয়া ফাইবার-প্রোটিন, কিছু অ্যালকোহলজাত পণ্য, নিউজপ্রিন্টের ওপর।
এছাড়া, অর্থমন্ত্রী তার ভাষণে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারতীয় জীবন বিমা নিগম এলআইসি ও আইডিবিআই ব্যাংককে বেসরকারিকরণের প্রস্তাব দেন।
জম্মু-কাশ্মির-লাদাখের জীবনমান উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবও রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। জম্মু-কাশ্মিরের জন্য ৩০,৭৫৭ কোটি রুপি ও লাদাখের জন্য ৫,৯৫৮ কোটি রুপি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
যথারীতি রাখা হয়েছে রেলের উন্নয়নে বড় ধরনের বরাদ্দ। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতকে যক্ষ্মামুক্ত করতে ২০২৫ মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে খরাপ্রবণ ১০০ জেলার জন্য রয়েছে বিশেষ আর্থিক সুবিধা।
বাজেট বক্তৃতায় সীতারমন ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অর্থনীতির ভিত শক্ত, তার ফলে বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা রয়েছে…এবং মুদ্রাস্ফীতি ঠিকভাবে ধরে রাখা গিয়েছে। ২০১৪ এর মার্চে কেন্দ্রের ঋণ ছিল জিডিপির ৫২.২ শতাংশ, তা কমে হয়েছে ৪৮.৭ শতাংশ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের নতুন বাজেটের প্রশংসা করেছেন। এই বাজেট বেকারত্ব কমিয়ে আনবে ও যুবকদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবেন বলে জানান তিনি।
খবর হিন্দুস্থান টাইমস, এনডিটিভি, এই সময়ের।