Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরে ২ স্তরের ব্যবস্থা


২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৫৯

ঢাকা: করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর। এই তিন বন্দরে দুই স্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্তর দুটি হলো- থার্মাল ও কোয়ারেন্টাইন টেস্টের ব্যবস্থা। এছাড়া বেনাপোল স্থলবন্দরসহ অন্যান্য স্থল বন্দরগুলোতেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জানানো হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং এজেন্ট কর্তৃক জাহাজ বহির্নোঙ্গরে আসা মাত্র এ বিষয়ে যথাযথ ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বন্দরে আসা জাহাজের মাস্টারকে পোর্ট লিমিটে আসার সাথে সাথে ঘোষণা দিতে হবে যে, ওই জাহাজে করোনাভাইরাস আক্রান্ত নাবিক নেই। এছাড়া পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা জাহাজগুলোতে শতভাগ নাবিকের পোর্ট হেলথ অফিসার কর্তৃক স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ ঘোষণা করলেই বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে।

বৈঠকে আরও জানানো হয়, জাহাজ থেকে হাসপাতালে দ্রুত রোগী স্থানান্তরে জন্য বন্দরে ‘অ্যাম্বুলেন্স শিপ’ রাখা হয়েছে। বন্দর ইমিগ্রেশন ডেক্সে পোর্ট হেলথ অফিসারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। কোনো নাবিক বাইরে যেতে চাইলে মেডিকেল স্ক্রিনিংয়ে সুস্থতা সাপেক্ষেই শুধু অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এলাকায় কর্মরত চীনা নাগরিকদের নিজ দেশে যেতে এ মুহূর্তে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। যারা ছুটিতে গেছেন তাদের এখন না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বন্দরে জাহাজে কর্মরত লোকদের সচেতন করা হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরসহ অন্যান্য স্থল বন্দরেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

বৈঠকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রকল্প বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করতে আরও আন্তরিক হতে প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘নিয়মিত প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করতে হবে। মনিটরিং সঠিকভাবে করতে পারলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাজ করতে গেলে চ্যালেঞ্জ থাকবে; চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পদক্ষেপও থাকবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর অধীনের সংস্থাগুলো অনেক কাজ করছে এবং আলোচনায় রয়েছে।’

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ হাজার ৭১৩ কোটি ১৩ লাখ ব্যয়ে ৪৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এগুলোর মধ্যে এডিপিভূক্ত প্রকল্প ৪০টি এবং ৯টি প্রকল্প সংস্থার নিজস্ব। এডিপিভূক্ত প্রকল্পে ৩ হাজার ১৩ কোটি ৪৪ লাখ এবং নিজস্ব প্রকল্পে ১ হাজার ৬৯৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

করোনাভাইরাস চট্টগ্রাম টপ নিউজ থার্মাল স্ক্যানার পায়রা বন্দর মোংলা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর