Thursday 10 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আ.লীগ-বিএনপি ছাড়া সব দলের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত


৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:২৪ | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:৩০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ ৯ জন মেয়র প্রার্থীই তাদের জামানত হারিয়েছেন। এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে দুই সিটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চার প্রার্থী ছাড়া বাকি সবাই জামানত হারিয়েছেন।

দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনি ফল বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

আরও পড়ুন- দক্ষিণের নতুন মেয়র তাপস, উত্তরে থাকলেন আতিকুলই

ইসি সূত্র জানায়, ঢাকার দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৫৯ দশমিক ১০ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে ধানের শীষের দুই মেয়র প্রার্থী পেয়েছেন ৩৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ লাখ ৭২ হাজার ১১ ভোট, দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫ ভোট। এছাড়াও ঢাকা  উত্তরে বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৬১ ভোট, দক্ষিণের ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন পেয়েছেন ২ লাখ ৬৫ হাজার ১২ ভোট। দুই দলের এই চার প্রার্থীই কেবল জামানত রাখতে পেরেছেন। বাকি সবাই জামানত হারিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ইসি সূত্র জানায়, অন্য দলগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ঢাকার দুই সিটিতে দলটির দুই মেয়র প্রার্থী পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭২৫ ভোট। এর মধ্যে উত্তরে শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০০ ভোট, দক্ষিণে মো. আবদুর রহমান পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫২৫ ভোট। তাদের দু’জন মিলে দুই সিটিতে পেয়েছেন ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও প্রদত্ত ভোটের ৮ শতাংশ না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই দুই প্রার্থীও।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচনে কেবল উত্তর সিটিতে মেয়র প্রার্থী দিয়েছিল। দলটির আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল কাস্তে প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১২২ ভোট, যা দুই সিটিতে প্রদত্ত ভোটের এক দশমিক ০৩ শতাংশ। আবার গণফ্রন্ট কেবল দক্ষিণ সিটিতে প্রার্থী দিয়েছিল। দলটির প্রার্থী আব্দুস সামাদ সুজন মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট, যা দুই সিটিতে প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আম প্রতীকে দুই সিটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল। এর মধ্যে উত্তরে মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৩ ভোট, দক্ষিণে মো. বাহারানে সুলতান বাহার পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ ভোট। তাদের প্রাপ্ত ভোট দুই সিটির মোট ভোটের শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ।

অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি কেবল দক্ষিণ সিটিতে প্রার্থী দিতে পেরেছিল। তাদের প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন লাঙ্গল মার্কায় পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯৩ ভোট, যা দুই সিটির প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশ কংগ্রেসও কেবল দক্ষিণে মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহকে প্রার্থী দিয়ে ডাব প্রতীকে নিজেদের ঘরে তুলেছে ২ হাজার ৪২১ ভোট, যা দুই সিটির প্রদত্ত ভোটের শূন্য ১৬ শতাংশ। আর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি কেবল উত্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। দলটির প্রার্থী শাহীন খান বাঘ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১১১ ভোট, যা দুই সিটির প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ।

ইসি সূত্র জানায়, ঢাকার দুই সিটিতে ভোট পড়েছে ২৭ শতাংশ। এর মধ্যে ডিএনসিসিতে ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ, দক্ষিণে পড়েছে ২৯ দশমকি ০৭ শতাংশ। এর আগে, ঢাকা সিটি করপোরেশনকে উত্তর ও দক্ষিণে বিভক্ত করার পর ২০১৫ সালে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে উত্তর সিটিতে ভোট পড়েছিল ৩৭ দশমিক ৩০ শতাংশ, দক্ষিণে পড়েছিল ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ভোট।

প্রসঙ্গত, সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের জামানত এক লাখ টাকা করে। এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা। আর সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলরদের জামানতের পরিমাণ ভোটারের সংখ্যাভেদে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। জামানত হারালে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় জামানতের যে টাকা জমা দিয়েছিলেন, তা আর ফেরত পাবেন না।

জামানত জামানত বাজেয়াপ্ত ডিএনসিসি ডিএসসিসি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সিটি নির্বাচন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর