অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে রফতানি আয়ে বড় ধস
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:৪৫
ঢাকা: চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে পণ্য রফতানিতে বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ২ হাজার ২৯১ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ কম ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ শতাংশ কম।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে, একক মাস হিসেবে জানুয়ারিতে রফতানি আয় হয়েছে ৩৬১ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২১ কোটি ৮ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ শতাংশ কম এবং গত অর্থবছরের চেয়ে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ কম।
ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষ রফতানি হয় ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ৪ হাজার ডলার। চলতি অর্থবছর প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রফতানির আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৬৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
এই সাত মাসে রফতানি আয় এসেছে ২ হাজার ২৯১ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৩ শতাংশ কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রফতানি আয় অর্জিত হয়েছিল ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। সে হিসেবে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ।
জানা যায়, দেশের রফতানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাত থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রফতানি আয় এসেছিল ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে তৈরি পোশাক খাতে পণ্য রফতানি থেকে আয় অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৯০৬ কোটি ৩২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আয় এসেছিল ২ হাজার ২১ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। সে হিসেবে এ খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি কমার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি তৈরি পোশাক খাত। লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ১৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে এ খাত থেকে আয় এসেছে ৬০ কোটি ২৪ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ কম প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৫৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কমেছে ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
এদিকে, গত সাত মাসে প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি কমেছে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। গত ৭ মাসে হোম টেক্সটাইল খাতে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা দুটিই কমেছে। এ সময় আয় এসেছে ৪৪ কোটি ২৬ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মাস শেষে কৃষি পণ্য রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৬০ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কমেছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।