জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: সমাবর্তনসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:২২
ঢাকা: বৈষম্য দূর ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সমাবর্তনসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদে’র ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রতিবছর নিয়মতান্ত্রিকভাবে সমাবর্তন আয়োজন করা। কলেজগুলোতে সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত আদায় না করা। সকল বিভাগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যবহারিক কোর্স চালু ও গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট দূর করা। কলেজগুলোকে শুধু সনদ প্রাপ্তির কেন্দ্র না করে সংস্কারের মাধ্যমে কর্মমুখী শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, সমাবর্তন অনুষ্ঠান একজন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা পরবর্তী সবচেয়ে বড় উপহার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পরেও সফলতার সাথে কোনো সমাবর্তন আয়োজন করেনি। ২০১৭ সালে ১ম বার সমাবর্তন আয়োজন করা হলেও যা ছিলো অসম্পূর্ণ।
তারা বলেন, আপনারা জানেন ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলে আসছে। বারবার প্রশ্ন উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কার না হওয়ায় শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন জাগার অন্যতম কারণ। শিক্ষক সংকট, শ্রেণী সংকট, যত্রতত্র অনার্স খুলে বসার ফলে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি।
মানববন্ধনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রহমতুল্লাহ বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গবেষণায় যে বরাদ্দ পাচ্ছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের সেই সুযোগ নেই। ভালো মানের গবেষণাগার নেই। প্রায় ১৭% শিক্ষক পদ শূন্য। কোনো কোনো কলেজে সেটা ৫০শতাংশ।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি বেকার তৈরির কারখানা। এক গবেষণায় দেখা গেছে শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে ৬৭ ভাগই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করলে তৈরি হবে দক্ষ জনশক্তি।
তিনি আরো বলেন, আজ আমাদের কেন রাস্তায় নামতে হয়। এদেশের শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদরা কি করেন। আমরা তাদের বলতে চাই, আমাদের দাবিগুলো মেনে নিন, আমরা আর রাস্তায় নামতে চাই না।