Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুন্দরবনের গোলখালীতে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি


৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৯:৫৪

সংসদ ভবন থেকে: খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনের কোলে বঙ্গোপসাগরের পাদদেশে গোলখালীতে আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে পর্যটনসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি মাস্টারপ্ল্যান করছে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার পর বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের আলোচনার জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন খুলনা-৬ আসন থেকে নির্বাচিত সরকার দলীয় সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব চেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা সুন্দরবনে আসেন। কিন্তু বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণ খুলনার গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়নি। ফলে সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য উপভোগের পাশাপাশি ওই এলাকার ইতিহাস-ঐতিহ্য জানা থেকে পর্যটকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।’


নির্বাচনী এলাকার বর্ণাঢ্য চিত্র তুলে ধরে সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘কয়রার গোলখালীতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হলে সেখান থেকে সুন্দরবনের সৌন্দর্য্যকে উপভোগের পাশাপাশি পাইকগাছা-কয়রার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও পুরাকীর্তিগুলো জানা ও দেখার সুযোগ হবে। পাইকগাছা উপজেলার প্রবেশ করেই মহাকবি মাইকেল মধুসুদনের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের পাড়ে কপিলমুনিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম যুদ্ধক্ষেত্র রয়েছে। সেখানে রয়েছে রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু বৃটিশ আমলে আধুনিক হাসপাতাল ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলি গ্রামে রয়েছে জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের গ্রামের বাড়ি। কয়রা উপজেলার আমাদিতে শত শত বছরের পুরানো মসজিদকুড় মসজিদ। কয়রার বেদকাশীতে আছে রাজা প্রতাপাদিত্যের জমিদার বাড়িসহ নানা স্থাপনা। ফলে পুরো এলাকাজুড়ে পর্যটন জোন গড়ে তোলা হলে চিংড়ির পাশাপাশি পর্যটন খাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভবনা রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

ওই প্রস্তাবকে সমর্তন জানিয়ে নিজ নিজ এলাকায় একই ধরণের প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার, শহীদুজ্জামান সরকার, আ ক ম সরওয়ারজাহান ও পংকজ দেবনাথ এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক ও রওশন আরা মান্নান।

তাদের বক্তব্যের পর প্রতিমন্ত্রী মহাবুব আলী পর্যটন খাতে সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি সংসদ সদস্যদের ডিও লেটারের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যটন বিষয়ক নতুন প্রকল্প গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

পরে মূল প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করেন সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু।

গোলখালী পর্যটন কেন্দ্র মাহবুব আলী সুন্দরবন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর