খাৎনা দিতে গিয়ে শিশুর পুরুষাঙ্গ কর্তন, আটক হাজাম

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার শহরতলী উদিবাড়ি এলাকায় এক শিশুর খাৎনা করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগে হাজাম (খাৎনাকারী) ফুরকান আলী খলিফাকে (৭০) আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গুরতর আহত শিশু সাদিক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার স্বীকার শিশু সাদিক সদর উপজেলার উদিবাড়ী এলকার আকতার হোসেনের ছেলে এবং উদিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। অন্যদিকে, আটক ফুরকান আলী সদর উপজেলার কবুরহাট খলিফাপাড়ার মৃত আব্দুল আজিজ খলিফার ছেলে।

কুষ্টিয়া মেডিলে কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওহিদুল আলম জানান, শিশু সাদিকের পুরুষাঙ্গের দুই-তৃতীয়ংশ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। জরুরি সার্জারি বিভাগে শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশুটিকে বাঁচানো গেলেও পরবর্তী সময়ে সে কতটুকু স্বাভাবিক হতে পারবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

সাদিকের পিতা আকতার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ছেলের খৎনা করতে হাজাম ফুরকান আলী বাড়িতে আসেন। যথারীতি নিয়মে খাৎনা করতে গিয়ে পর পর দুইবার খুর চালিয়ে পুরুষাঙ্গের মাথা থেকে দুই টুকরো কেটে ফেলে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এসময় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক জানান, সাদিকের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, খাৎনা করতে গিয়ে শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে হাজাম (খৎনাকারী) ফুরকান আলী খলিফাকে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খাৎনা লিঙ্গ কর্তন