ভারতে পাচারের সময় ২ রোহিঙ্গা যুবতীসহ আটক ৪
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:০৯
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার ডুগডুগি পশুহাট এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারের সময় দুই রোহিঙ্গা যুবতীসহ চারজনকে আটক করেছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি পশুহাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক জুবাইরা খাতুন (২০) কক্সবাজার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি (ক্যাম্পের প্রধান) আমির হোসেনের মেয়ে ও আনোয়ারা খাতুন (১৮) বালুখালি ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। এছাড়া জাকির হোসেন (৪২) বরিশাল জেলার বাগদা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে ও নাফিজ সাদিক (২৫) নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার ফজলুল হকের ছেলে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি- তদন্ত) জাহাঙ্গীর কবির জানান, ডুগডুগি পশুহাটে অপরিচিত দুই যুবতীকে দেখে স্থানীয়দের মনে সন্দেহ হয়। পরে ওই দুই যুবতীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা ভাষা বুঝতে পারে না। তখন স্থানীয়রা ধারণা করে, মেয়ে দুটি রোহিঙ্গা হতে পারে। এ সময় দামুড়হুদা মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
ওসি জাহাঙ্গীর আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই যুবতী রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে নিয়েছে। তবে তারা কেন এ এলাকায় এসেছে তা বলেনি। এ সময় তাদের সাথে থাকা জাকির হোসেন ও নাফিজ সাদিক আটক করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দামুড়হুদার যেকোনো সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ওই দুই যুবতীকে ভারতে পাচার করা হতো।
এদিকে পুলিশ বলছে, জাকির হোসেন ও নাফিজ সাদিক চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছিল বলে দাবি করেছে। এ জন্য তারা দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাচ্ছিল। ওই দুই যুবতীর সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেয়। তাদের কাছে পাসপোর্ট ভিসা আছে।
ওসি জাহাঙ্গীর কবির আরও জানান, এ ব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে। তবে আটক জাকির হোসেন ও নাফিজ সাদিককে ছেড়ে দেওয়া হবে। এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী দুজনকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়া হবে।
