সিঙ্গাপুরে এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৫২
সিঙ্গাপুরে এক প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নতুন করে তিন জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।
সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই বাংলাদেশির বয়স ৩৯ বছর। ভাইরাস শনাক্তের পর তাকে দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিসেস (এনসিআইডি)-তে রাখা হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যক্তির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গগুলো দেখা দিতে শুরু করে। এরর ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি একটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে যান। ৭ ফেব্রুয়ারি বেডোক পলিক্লিনিকে ফলো-আপ অ্যাপয়েন্টমেন্টের পর তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
রোববার শনাক্ত হওয়া বাকি দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৭১ বছর অন্যজনের বয়স ৫৪ বছর। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩-এ।
স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বাংলাদেশিসহ তিনজনের কেউই সম্প্রতিকালে চীনে যাওয়া-আসা করেননি। তাদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা গুরুতর, তারা সবাই আইসিইউতে রয়েছেন। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি না হওয়ায় ছয় জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার পর্যায় একধাপ বাড়িয়ে কমলা রঙে নিয়ে গেছে। ডিজিসি আউটব্রেক রেসপন্স সিস্টেমস কন্ডিশন (ডরসন) মোতাবেক এর পরে রয়েছে লাল ধাপ। কমলার অর্থ হলো- সংক্রমণ মাঝারি থেকে উচু পর্যায়ের জনস্বাস্থ্য ঝুকি রয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের আওতায়।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের অনলাইনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মাদারশিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই প্রবাসী বাংলাদেশি হাসপাতালে ভর্তির আগে মুস্তাফা সেন্টারে গিয়েছিলেন এবং সেখানে দ্য লিও ডরমিটরিতে ছিলেন।
গত কয়েক সপ্তাহ সিঙ্গাপুরবাসীদের জন্য মুস্তাফা রীতিমতো প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়। মাস্ক কেনার জন্য বহু মানুষকে দেখা গেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে। সেখানকার এক নিরাপত্তারক্ষী মাদারশিপকে জানান, চলতি সপ্তাহে আগের তুলনায় মানুষের আনাগোনা বেড়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে পাবলিক প্লেস থেকে এই সংক্রমণের ঝুঁকি কম বলেই অনুমান করা হচ্ছে।