হিলিতে ঢিমেতালে চলছে করোনাভাইরাস পরীক্ষা
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:১১
দিনাজপুর: চীনসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের সব স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টেও সর্তকতা জারির পাশাপাশি বসানো হয় ৪ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম। কেবলমাত্র যাত্রীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই সীমাবদ্ধ ছিল তাদের কার্যক্রম। এক সপ্তাহ গেলে এই কার্যক্রমও ঝিমিয়ে পড়ে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইনফ্রারেড নন কন্টাক অটোমেটিক থার্মোমিটারের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে এই কার্যক্রম। মেডিকেল টিম গঠনের ১২ দিন পর আবারও শুরু হয়েছে লিফলেট বিতরণ। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, হিলি বন্দরে এখনও করোনাভাইরাসের পরীক্ষা চলছে ঢিমেতালে।
কথা হয় ভারত থেকে আসা কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে। তারা জানান, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চিকিৎসা ও ভ্রমন শেষে দেশে ফিরেছেন। করোনাভাইরাস বিষয়ে তাদেরকে ইমিগ্রেশনের মেডিকেল টিমের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এবং ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের সাহায্যে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করছে। এই যন্ত্রটি দিয়ে ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব নয় অভিযোগ করে যাত্রীরা দ্রুত এই ইমিগ্রেশনটিতে থ্যার্মাল স্ক্যানারের দাবি জানান।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার অভিযোগ, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও ভারতীয় ট্রাক ডাইভারদের কোনো ধরনের পরীক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে না। এ কারণে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব চালকদেরও যেন পরীক্ষার আওতায় আনা হয় সে ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন তারা।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. নাজমুস সাইদ জানান, ‘এখানকার মেডিকেল টিমটি আগে সাধারণ থার্মোমিটার দিয়ে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করত। রোববার থেকে আমরা ইনফ্রারেড নন কন্টাক অটোমেটিক থার্মোমিটার ব্যবহার করছি। এর ফলে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের দ্রুততম সময়ে শরীরের তাপমাত্রা ও জ্বর নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে। তবে এই যন্ত্রটি দিয়ে ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব নয়। আমরা ভাইরাস শনাক্তের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি থ্যার্মাল স্ক্যানারের বিষয়ে আবেদন করেছি। আশা করছি তা খুব দ্রুত সময়ে পেয়ে যাবো।’