কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৩ মাস সময় পেল বন্দর কর্তৃপক্ষ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৫
ঢাকা: চট্টগ্রাম বন্দরের আওতাধীন কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বন্দর কর্তৃপক্ষকে তিন মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনাগুলোর পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে আদালতের তলবে হাজির হন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। আদালতে চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের (বন্দর কর্তৃপক্ষ) তিন মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইউটিলিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতেও নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া উচ্ছেদ কার্যক্রমে আমাদের সহায়তা করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকার পক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১২ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত। আদালত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট রায়ের অনুলিপি দেওয়া হয়।
ওই রায় অনুযায়ী উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কয়েকদিন সে কার্যক্রম চলার পর তা বন্ধ যায়। এরপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৯ এপ্রিল কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদ করতে বন্দর চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। মনজিল মোরসেদ জানান, আদালতের নির্দেশে আংশিক উচ্ছেদ করা হয়। এরপর আবার আবেদন করা হলে আদালত বন্দর কর্তৃপক্ষকে সময় দেন। সময় পার হয়ে গেলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ফের সময় আবেদন করায় বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন আদালত।