সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে বঙ্গবন্ধুর তর্জনি উত্তোলিত প্রতিকৃতি
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৫৫
ঢাকা: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে স্থানে দাঁড়িয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে ভাষণমঞ্চ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর তর্জনি উত্তোলিত একটি প্রতিকৃতিও ওই ভাষণ মঞ্চে স্থাপন করা হবে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন-১ অধিশাখা থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সংগৃহীত তথ্যে জানা যায় যে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এরই মধ্যে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের দুটি পর্যায় শেষ হয়েছে। যেখানে গ্লাস টাওয়ার, শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা জাদুঘর, ফোয়ারা, জলাধার ও উম্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তৃতীয় পর্যায়ে আরও কিছু কার্যক্রম সংবলিত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে জমা করা হয়েছে। মূল প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভাষণমঞ্চ ও বঙ্গবন্ধুর তর্জনি উত্তোলিত প্রতিকৃতি স্থাপন অন্তর্ভুক্ত করে ডিপিপি পুনর্গঠন করে তা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ৭ই মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করার বিষয়ে একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পাওয়া গেলে পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়া হবে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠি অনুযায়ী অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং রমনা কালী মন্দির ও শিশুপার্ক সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/দফতর থেকে সংগ্রহ করে ফের পাঠানো হবে।
আদালতে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এ বিষয়ে আদালত বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতেই অসৎ উদ্দেশ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক ওই স্থানে শিশুপার্কটি নির্মাণ করা হয়। শিশুপার্ক সরানোর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত কি তা ১৮ ফেব্রুয়ারি জানাতে বলেছে আদালত। এ সময় আদালতে রিটকারী পক্ষে ড. বশির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।