Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মানুষকে জাগ্রত করতেই লিখতেন শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন


১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:৫৫

ঢাকা: ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন তৎকালীন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন। এ সময় তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য লিখতেন। শুধু সাংবাদিকতার জন্যই লিখতেন না, তিনি দেশের মানুষকে জাগ্রত করতেও লিখতেন। দেশের প্রথম সারির যে কজন বুদ্ধিজীবী ছিলেন তার মধ্যে সিরাজুদ্দীন হোসেন ছিলেন অন্যতম।’

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীল সিরডাব মিলনাতয়নে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন স্মৃতিস্মরণে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আলোচনায় সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত বলেন, ‘১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী থাকাকালে সেদিনের দিনগুলোতে দৈনিক ইত্তেফাক পড়তাম। সবাই উদ্বুদ্ধ হয়েছিল ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনের লেখা পড়ে। আমিও উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম। দেশ স্বাধীনের পেছনে যারা অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন। তার মতো করে বর্তমানে সাংবাদিকতা করলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো। সিরাজুদ্দীন নিজে জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। তার মতো দেশে ১০০ সাংবাদিক থাকলে দেশ আরো সমৃদ্ধ হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে টার্গেট করে হত্যা করেছে পাকিস্তানিরা। কারণ তিনি ছিলেন সত্য প্রকাশে নির্ভীক। তিনি ছিলেন একজন প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিজীবী। একজন সাংবাদিক তার পেশায় কিভাবে অনড় থাকবেন তা শহীদ সিরাজুদ্দীন দেখিয়ে গেছেন।’

বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘সিরাজুদ্দীন নিজের জন্য মরেননি। তিনি দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন। তখনকার দিনে অনেক কষ্টে সাংবাদিকতা করতে হতো। সারাদিন কষ্ট করে সংবাদ সংগ্রহ করতে হতো। বর্তমানে সাংবাদিকতা অনেক আধুনিক ও সহজতর হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও সিরাজুদ্দীন ছিলেন আত্মার আত্মীয়। দুই ভাইয়ের চেয়ে বেশি আপন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছাড়া পেয়ে দেশে আসার পর গণভবন থেকে ইত্তেফাকে প্রথম ফোন করে বলেছিলেন, সিরাজুদ্দীন ভাই কোথায়? জবাব পান তাকে ১১ ডিসেম্বর ভোরের দিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তাকে হত্যা করে। তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। একথা শোনার পর বঙ্গবন্ধু আহ্‌ বলে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। এখান থেকে বুঝতে হবে, বঙ্গবন্ধু সিরাজুদ্দীন হোসেনকে কতটা ভালোবাসতেন।’

গোলটেবিল আলোচনায় শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের সন্তানরা অভিযোগ করে বলেন, ‘শহীদ সিরাজুদ্দীনকে কেবল একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্মরণ করা হয়। কিন্তু তার কাজের মাধ্যমে তাকে মূল্যায়ন করা হয় না। ১৯৪৭ সালের পর থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তার যে অবদান তা ভুলবার মতো নয়।’

দৈনিক ইত্তেফাক শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন সিরাজুদ্দীন হোসেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর