‘ইউএনও’দের মাধ্যমে রাজাকারদের তালিকা করা হচ্ছে
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:০১
সংসদ ভবন থেকে: উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) মাধ্যমে রাজাকারদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ২৮ আগস্ট জেলা প্রশাসকদের বরাবর রাজাকারের তালিকা সংগ্রহের জন্য পত্র পাঠানো হয়। তার প্রেক্ষিতে ১২ জন জেলা প্রশাসক মাত্র ৩৯৯ জনের একটি আংশিক তালিকা পাঠান। রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ নাম তালিকা সংগ্রহ করার জন্য যুদ্ধকালীন কমান্ডারসহ প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে রাজাকারের তালিকা সংগ্রহ করার নির্দেশ প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসকদের বরাবর ফের চিঠি পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকাভূক্তির দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। যার সর্বশেষ তারিখ ছিল ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর। অনলাইনে এবং সরাসরি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার আবেদন পাওয়া যায়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, এসব আবেদন উপজেলা/জেলা/ মহানগর পর্যায়ে ৪৭০টি কমিটি গঠন করে যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ কমিটি থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ৮৫টি কমিটির মধ্যে থেকে প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। যাদের মধ্যে ৫৪টি মামলা এবং অবশিষ্টগুলো কমিটির সদস্যদের মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্বের কারণে যাচাইবাছাই শেষ হয়নি। এগুলো শেষ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুরো যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়ে থাকলে তার বিষয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী রাজাকারদের তালিকা