ঢাকা: গ্যাসের চুলা থেকে লাগা আগুনে শরীরের শতভাগ পুড়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে নারায়ণগঞ্জের বৃদ্ধা নূরজাহান বেগমের। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. বিধান সরকার জানান, দগ্ধ নূরজাহান বেগমকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তার শরীরের শতভাগ পুড়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকায় গ্যাসের চুলা থেকে একটি বাসায় আগুন লাগে। এতে পরিবারটির আট সদস্য দগ্ধ হন। তবে সবচেয়ে বেশি পুড়ে যান নূরজাহান বেগম। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের চুলা ধরাতেই বিস্ফোরণ, পরিবারের ৮ সদস্য দগ্ধ
এখন ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি আছেন নূরজাহানের ছেলে মো. কিরণ মিয়া (৪৫) ও তার ছেলে আবুল হোসেন (২৫)। এদের দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। কিরণ মিয়ার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং আবুল হোসেনের পুড়েছে ৪৫ শতাংশ।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কিরন মিয়ার ছেলে হিরন (২৫) এর শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। হিরনের স্ত্রী মুক্তার পুড়েছে ১৫ শতাংশ, তাদের শিশু সন্তান তিন বছরের লিমার পুড়েছে ১৪ শতাংশ, কিরনের আরেক ছেলে ১০ বছরের আপনের পুড়েছে ২০ শতাংশ এবং হিরনের বোনের ছেলে কিশোর কাওছারের পুড়েছে ২৫ শতাংশ।
নূরজাহান বেগমের মেয়ে জামাই ইলিয়াছ মিয়া জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদির শিবপুর উপজেলায়। পরিবারটি বর্তমানে সাইনবোর্ড সাহেবপাড়া এলাকায় একটি বাড়ির পাঁচতলার নিচ তলায় ভাড়া থাকে। রাতে ওই এলাকায় গ্যাসের চাপ কম ছিল, ফলে চুলা বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। ভোরে রান্নার জন্য আগুন ধরাতেই বিকট শব্দে পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেই আগুনে আটজন দগ্ধ হয়।
পরে তাদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।