ঐক্যের মধ্য দিয়ে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: ড. কামাল
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৫২
ঢাকা: জনগণের ঐক্যের মধ্য দিয়ে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। অমর একুশে উপলক্ষে গণফোরাম এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি। গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষমতা যেমন আমরা অর্জন করব তেমনি দেশের সম্পদের মালিকের ভূমিকা আমরা রাখতে পারব এবং উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অসাধারণ সম্ভাবনা আছে। ষোল কোটি মানুষের এই দেশে যে লক্ষ্যগুলো আছে, সেগুলো খুবই গঠনমূলক। আমরা কী চাই? আমরা উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থা চাই, উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবা চাই। আমাদের ইতিবাচক যে লক্ষ্যগুলো আছে, সেগুলো সামনে রেখে এই ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েই আছে। এখন আমাদের শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যারা আমাদেরকে বঞ্চিত করে রাখতে চায়, যারা পুঁজি পাচার করে বিদেশে সম্পত্তি করছে, তাদেরকে থামাতে হবে ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে। বলতে হবে, তোমাদের থেকে আমরা মুক্ত হতে চাই। তোমরা সম্পত্তি-টম্পত্তি করেছ। তোমরা চলে যাও। তোমাদের সম্পত্তি ফেরানোর ব্যবস্থা আমরা করছি। সেটা আমরা পারব যদি আন্দোলন নিয়ে আমরা এগোতে পারি। দেশের আসল যে মালিক জনগণ, তাদের নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রকে আনতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘ঐক্যের কথা শুধু বলব না। বাস্তবে ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে— গ্রামে, শহরে, সবখানে। ঐক্যের মধ্য দিয়ে সেই শক্তি আমরা সঞ্চয় করতে পারব। যে শক্তি দিয়ে রাষ্ট্রের মালিকানার ভূমিকা পালন করা সম্ভব এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব। আর এর জন্য আমাদের গণতন্ত্র প্রয়োজন, প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র।‘
জনগণকে মালিকের ভূমিকায় রাষ্ট্র ক্ষমতা ভোগ করতে হবে জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতাকে কেন্দ্র করে দেশ শাসন করতে হবে। সে জন্য আমাদের প্রয়োজন নির্ভেজাল গণতন্ত্র। আমাদের প্রত্যেকে রাষ্ট্রের মালিক। মালিক হিসেবে সবাই মিলে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, পুঁজি পাচারকারী চিহ্নিত করে দেশ রক্ষা করা এবং দেশের সম্পদ রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে। যৌথভাবে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশ গড়ার শপথ নিতে হবে। এটা অবশ্যই সম্ভব এবং স্বাধীনতার লক্ষ্য এটাই ছিল।’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার চৌধুরীসহ অনেকেই।