ঢাকা: মাদকমুক্ত শিক্ষিত জাতি গঠনের লক্ষ্যে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে ডোপটেস্ট বা বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু। বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, এখন থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে অবশ্যই ডোপটেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। শুধু তাই নয়, দেশের সব সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন সব অধিদফতর ও সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা থেকে ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সব সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের সময় বিদ্যমান ব্যবস্থার সঙ্গে ডোপটেস্ট অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে চলমান মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে আলোচনা হয়। এ অভিযানের পক্ষে সামাজিক আন্দোলন জোরদার, সচেতনতা বৃদ্ধি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও কারাগারে মাদকাসক্তদের পৃথকভাবে রাখার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে রাজনৈতিক পদধারী যারা আটক হচ্ছেন তাদের বিষয়ে গভীর তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এদের পেছনে কারা মদদ দিচ্ছে, তাদের খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার সব থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজও করা হচ্ছে। তদের সার্বিক কার্যক্রম পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে গ্রামীণ এলাকার অবস্থিত থানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পর্যাপ্ত আবসনের ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে বৈঠকে।
