Thursday 03 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অপহরণকারীদের সহায়তার অভিযোগে ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা


২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:০৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: মানবাধিকার কর্মী মো. রিয়াজ উদ্দিনের অপহরণকারীদের গ্রেফতার করেও মামলা না নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে সাভার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এফ এম শাহেদ হোসেনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিয়াজ উদ্দীন ‘মানবাধিকার খবর’ নামে মাসিক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহারের আদালতে রিয়াজ উদ্দিন নিজেই বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনার পর আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকারিয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলি এবং সাভারের ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক, অপহরণকারী বৃষ্টি, তার স্বামী শুধাংশ রায়, নয়ন কুমার ও রণিসহ অজ্ঞাতনামা আর ৫/৬ জন।

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, গত বছর ডিসেম্বর বাদীর সঙ্গে আসামি ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেখানে সে বাদীকে একটি ছেলেসহ বিভিন্ন অসহায়ত্বের কথা বলেন। বাদি মানবাধিকর কর্মী হওয়ায় তার কাছে সহায়তা চান এবং সরেজমিনে অসহায়ত্বে দেখে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করেন। বৃষ্টির কথায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাভার বাসস্ট্যান্ড হয়ে হেমায়েতপুরের বালুর মাঠে দুপুর ১টার দিকে যান বাদি। সেখানে বৃষ্টির বাড়িতে ঢোকার পর তিন-চারজন ছেলে দরজা বন্ধ করে তাকে মারধর করে এবং কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল, ক্যামেরা, এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। এরপর নির্যাতন করে এটিএম কার্ড ও বিকাশের পিন নম্বর ৬ হাজার টাকা তুলে নেয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বাদির মোবাইল নম্বর থেকে তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন জনকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় কিন্তু পরবর্তীতে মুক্তিপণ না পেয়ে বেলা ৪টার দিকে তাকে সাভার নিয়ে ছেড়ে দেয় তারা। এরপর বাদি সাভার থানায় যান এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করেন এবং সব কিছু উদ্ধার করে আসামি বৃষ্টি, নয়ন কুমার, রণি ও অজ্ঞাত এক নারীকে থানায় নিয়ে আসে।

থানার আসার পর মামলার প্রস্তুতির এক পর্যায়ে পুলিশ বাদিকে আসামিদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন। সমঝোতা না করলে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মামলায় বাদিকে আদালতে চালানের ভয় দেখান এবং বাদির কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন ওসি। পরে বাদি জানতে পারেন, আটককরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। আসামিদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করেছেন তিনি।

অপহরণ অপহরণ মামলা ওসি মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর