ফের পিছিয়েছে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি
৩ মার্চ ২০২০ ১৭:৫৮
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ফের পিছিয়েছে। এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৭ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) মামলার শুনানি শেষে কেরাণীগঞ্জ কারাগারের পাশে দুই নম্বর ভবনের অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন তারিখ ঠিক করেন।
মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ জন্য তার পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন করে এ দিন ঠিক করেন।
এর আগেও একাধিকবার এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। তবে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হননি বলে শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। সবশেষ গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। সেদিনও খালেদা জিয়া হাজির না হওয়ায় আদালত আজ ৩ মার্চ শুনানির দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন।
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ওই দিন খালেদা জিয়া আদালতে তাকে বসানোর স্থান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
এর আগে ‘জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত’ এই মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা বাতিল চেয়ে রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। রিটের কারণে প্রায় ৯ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর মামলায় বর্তমান আসামির সংখ্যা ১৭ জন।
বাকি আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।