Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিদেশ থেকে এলে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সবচাইতে নিরাপদ পদ্ধতি’


১১ মার্চ ২০২০ ০১:০৬

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, বাংলাদেশের বাইরে থেকে যদি কেউ দেশে এসে থাকেন তাহলে আমরা সবাইকে ১৪ দিন বাসায় থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। একে আমরা ‘সেলফ কোয়ারেন্টাইন’ বা ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ বলে থাকি। আমাদের দেশের মতো পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারেন্টাইন হচ্ছে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পদ্ধতি।

মঙ্গলবার ( ১০ মার্চ) আইইডিসিআর’র সম্মেলন কক্ষে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক।

অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দেশের বাইরে থেকে যারা এখন ফিরছেন, তাদের ১৪ দিন বাসায় থাকার জন্য (সেলফ কোয়ারেন্টাইন) বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় না হলে তারা বাসার বাইরে যাবেন না। এ সময় একটি ঘরে থাকা দরকার। এটিকে ‘সেলফ কোয়ারেন্টাইন’ বা ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ বলা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে ফিরে আসার পরে ১৪ দিনের মধ্যে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে যাওয়া যাবে না। যদি সেটাও একান্ত প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে মাস্ক পরে বাইরে যেতে হবে। এ সময় যদি কারো মধ্যে কোনোরকম লক্ষণ-উপসর্গ দেখা যায় তখন বাড়ি থেকে না বাইরে না গিয়ে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। আইইডিসিআর’র টিম তাদের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে আনবে।

হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন বিদেশ ফেরত ব্যক্তির স্বজন ও বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা করেন অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসবেন তাদের স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানাই সহযোগিতা করার জন্য। যদি বিদেশ ফেরত ব্যক্তি বাসার বাইরে যান তবে অন্যদের দায়িত্ব সেই ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা স্মরণ করে দেওয়া। এটা আসলে এক ধরনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কারণ, সবাইকে বুঝতে হবে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসার পরের ১৪ দিন বাসায় থাকা নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’

এর আগে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে নিশ্চিত করেন, ‘বাংলাদেশে এই মুহূর্তে চার জনকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। আর পর্যবেক্ষণের জন্য আটজনকে রাখা হয়েছে আইসোলেশনে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়া তিনজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।’

করোনাভাইরাস বাংলাদেশি হোম কোয়ারেন্টাইন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর