শেরপুরে করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুত ১৫০ স্বতন্ত্র শয্যা
১১ মার্চ ২০২০ ০৬:৩৩
শেরপুর: বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে- এমন খবরে জেলার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা রোগীর চিকিৎসা ও আলাদা রাখার জন্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫০টি আলাদা শয্যা প্রস্ততসহ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে সংকট দেখা দিয়েছে মুখের মাস্কসহ স্যানিটাইজারের। সেইসাথে বেড়েছে দামও।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যা, ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা, শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ শয্যা, নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৫০ শয্যা ও নকলার উরফা মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৫০ শয্যাসহ মোট ১৫০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরে বিদেশ ফেরৎ যাত্রীদের পরীক্ষার জন্য ৩ সদস্য করে দু’টি মেডিক্যাল টিম রাখা হয়েছে। তারা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তারা তবে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি।
করোনা সন্দেহ হলে তাদের রাখার জন্য নালিতাবাড়ী ও নকলার দু’টি প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেইনটাইন (সাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা) কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। দু’টি উচ্চ পর্যায়ের মেডিক্যাল টিম করা হয়েছে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের জন্যও বিশেষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গণসচেতনতার জন্য বিভিন্ন জায়গায় লিফলেট বিলি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনওয়ারুর রউফ জানান, করোনা প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বাত্মক গুরুত্বের সাথে প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫০ শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও শয্যার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি সাধারণ মানুষদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেইসাথে যারা মাস্কসহ স্যানিটাইজারের দাম বেশী রাখছে, তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/জেই/জেএইচ