Sunday 08 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রস্তুত কক্সবাজার


১১ মার্চ ২০২০ ০৬:৪৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কক্সবাজার: করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুত পর্যটন নগরী কক্সবাজার। জোরদার রয়েছে বিমান বন্দর ও স্থল বন্দরে ভাইরাস পরীক্ষা। আগাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০০ শয্যার পৃথক ইউনিট। রোহিঙ্গাদের জন্যও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সচেতনতা মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে গঠন করা হয়েছে কমিটি। জোর দেওয়া হচ্ছে সচেতনতাবৃদ্ধিতে।

এছাড়া করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে বাড়তি দামে মাস্ক ও হেক্সিসল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালত।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার প্রচারণায় গঠন করা হয়েছে কমিটি। জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসা ও আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে রামু ও চকরিয়া উপজেলায় ৫০ করে ১০০ শয্যার পৃথক ইউনিট। জোরদার রয়েছে কক্সবাজার বিমান বন্দর ও স্থল বন্দরে করোনাভাইরাস পরীক্ষা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া কক্সবাজারে উখিয়া-টেকনাফে ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ক্যাম্পে কর্মরত দেশী-বিদেশী লোকদের জন্যও রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন ও সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে বিশেষ টিম পরিদর্শন করে কক্সবাজার বিমান বন্দর। এসময় পরিদর্শন করা হয় করোনা ভাইরাস সনাক্তের থার্মাল স্ক্যানার কেন্দ্রগুলো।

এছাড়া করোনাভাইরাস আতংকে মাস্ক ও হেক্সিসলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগানো অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অব্যাহত রয়েছে অভিযান।

সরেজমিনে দেখা যায়, অসাধু ব্যবসায়ীরা ৩০ টাকার মাস্ক বিক্রি করছে ২০০ টাকায়। এই অপরাধে গত সোমবার (৯ মার্চ) রাতে শহরের পানবাজান সড়কের নুর সার্জিক্যাল নামে এক ফার্মেসীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

করোনা মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পাশাপাশি এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরার্মশ দিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন জানান, বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫ টি করা হয়েছে। রামু ও চকরিয়া উপজেলায় ৫০ করে ১০০ শয্যার পৃথক ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সবধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসাবিদদের নির্দেশনা অনুযায়ী সবাই সম্মিলিতভাবে সচেতন থাকলে এই ভাইরাস আক্রমণের কোন সুযোগ নাই।

উখিয়া উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত মিয়ানমারের বিশাল জনগোষ্ঠী অন্তত ঝুঁকির মধ্যে থাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি। রোহিঙ্গার পাশাপাশি ক্যাম্পে কর্মরত দেশি-বিদেশী লোকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিতে সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এনজিও ও আইএনজিও। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আক্রান্ত কাউকে পেলে তাকে দ্রুত সনাক্ত করে চিকিৎসা ও আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হবে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: মাহবুবুর রহমান জনান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরী মুহূর্তের জন্য ১০০ শয্যার ইউনিট ছাড়াও ২৪ ঘন্টা কাজ করতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম। প্রয়োজনে জনবল বাড়ানো হবে।

কক্সবাজার করোনাভাইরাস প্রস্তুতি রোহিঙ্গা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর