কাউন্সিলরদের সঙ্গে মেয়র নাছিরের ‘বিদায়ী’ সেলফি
১১ মার্চ ২০২০ ১৮:৫০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: নির্বাচনের আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের শেষ সাধারণ সভায় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নিজেই কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিজের মোবাইলে সেলফি ধারণ করেন। মেয়র বলেন, ভবিষ্যতে হয়তো, এমন পরিবেশে, এমনভাবে আর কখনো বসা না-ও হতে পারে।
বুধবার (১১ মার্চ) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সিটি করপোরেশনের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের ৫৬তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে মেয়র নাছিরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তার সেলফি ধারণের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে উপস্থিত আন্দরকিল্লা-চকবাজার-দেওয়ানবাজার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হস্তান্তর হবে আগস্টে। আরও চারটা সাধারণ সভা হবে। তবে আমাদের অনেকে আবার নিবার্চিত হতে পারেন, আবার না-ও হতে পারেন। নির্বাচিত না হলে সেক্ষেত্রে আগামী সভাগুলোর পরিবেশ আরেকরকম হতে পারে। যারা নির্বাচিত হতে পারবেন না, তারা আসতেও পারেন, আবার না-ও পারেন। ২৯ মার্চ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। ২৯ মার্চের আগে এটাই শেষ সভা ছিল। আমরা এটাকেই বিদায়ী সভা ধরে নিয়েছি।’
‘সভার শেষদিকে কাউন্সিলররা মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে ছবি তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। মেয়র মহোদয় বলেন- যদিও আমাদের অনেকেই আবারও প্রার্থী হয়েছেন এবং আমরা যেহেতু আরও চারটি সাধারণ সভায় থাকব, এটাই শেষ নয়। তারপরও কেউ হয়তো আগামী দিনেও থাকবেন, কেউ হয়ত থাকবেন না। আমি যেহেতু আর থাকব না, ভবিষ্যতে হয়ত এমনভাবে আর বসা না-ও হতে পারে। তাই আমি স্মৃতিটা ধরে রাখতে চাই।’ বলেন আনজুমান আরা বেগম।
এসময় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নিজেই দাঁড়িয়ে কাউন্সিলর এবং চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার সঙ্গে সেলফিতে সাধারণ সভার ছবি ধারণ করেন বলে জানান আনজুমানা আরা বেগম।
সভায় উপস্থিত কাউন্সিলররা জানান, সভার শেষদিকে হাসিঠাট্টার মধ্যেও বিদায়ের সুর ছিল সবার মধ্যে। এ নিয়ে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র পদে জিতেছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। এবারও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগ নাছিরের বদলে মনোনয়ন দিয়েছে একই কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে।
সাধারণ সভায় মেয়র কাউন্সিলরদের মধ্যে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের নির্বাচনে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন। একইভাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভাবমূর্তি যাতে কোনোভাবে ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকারও অনুরোধ করেন মেয়র।