চসিক নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
১২ মার্চ ২০২০ ২১:২৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের তিন মন্ত্রী, মেয়র ও সরকারদলীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বিএনপি।
দলটির মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের সমর্থনে গঠিত চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচারণায় সরকারি গাড়ি ও সার্কিট হাউজকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে নাগরিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব নছরুল কদির।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) রিটার্নিং অফিসার মন্ত্রী-এমপি, মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্যতিরেকে শুধু সরকারি গাড়ি ও সার্কিট হাউজ ব্যবহারের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন।
রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের পর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে তিনি পাঠিয়েছেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সমর্থনে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে।
কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও এম এ সালামকে। তিন মন্ত্রীকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। সবাই রাষ্ট্রের সুবিধাভোগী উল্লেখ করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া রেজাউল করিমের নির্বাচনের কাজে জাতীয় সম্পদ সার্কিট হাউজ ও এর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সরকারি গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে এরও প্রতিকার চেয়েছে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাতকে সমর্থন জানিয়ে গঠিত নাগরিক ঐক্য পরিষদ।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীসহ দলের নেতাদের নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বৈঠক করেন। এরপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, মেয়র, সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নগর আওয়ামী লীগের একটি বর্ধিত সভায় যোগ দেন। বিভিন্ন ঘরোয়া বৈঠকে রেজাউলের পক্ষে মন্ত্রী-এমপিদের নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার খবরও এসেছে গণমাধ্যমে।