Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুশির উড়ন্ত শতকে আবাহনীর দুর্দান্ত শুরু


১৫ মার্চ ২০২০ ১৮:০১

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে এই প্রথম আবাহনীর জার্সি গায়ে নেমেছিলেন মুশফিকুর রহিম। নেমেই করলেন বাজিমাত। ১২৪ বলে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খেললেন ১২৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। তাতে ইনিংসের শুরুর দৈন্য দশা কাটিয়ে আবাহনী পেল ৭/২৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। জয়ের জন্য ২৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব গুটিয়ে গেল ২০৮ রানে, ৮ বল বাকি থকতেই। ৮১ রানের দুর্দান্ত জয়ে ২০২০-২০২১ মৌসুমের শুরু করল আবাহনী।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৫ মার্চ) মিরপুর শের-ই বাংলায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল করতে পারেনি টিম আবাহনী। রনি হোসেন, জয়নুল ইসলামদেরর আক্রমণাত্মকে বোলিংয়ে ৬৭ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চলে যায় পুরোপুরি ব্যাকফুটে। ঠিক তখন ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, মুশি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে সঙ্গে নিয়ে খেলেন ১৬০ রানের অবিচ্ছিন্ন এক ইনিংস। এতে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে পৌঁছে দেন ২২০ রানের কোটায়। এর মধ্যে নিজে তুলে নেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের ১৩তম শতক। শতকটি হাঁকাতে তিনি বল খেলেছেন ১১১টি।

বিজ্ঞাপন

তবে এখানেই থামেননি দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটিং রথ ছুটিয়েছেন আরও বড় সংগ্রহের দিকে। ইনিংসের শেষ বলটি পর্যন্ত উইকেটে থাকলে হয়ত সেটা অসম্ভবও ছিল না। কিন্তু হয়নি। জহুরুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন রনি হোসেনের হাতে। তবে ক্রিজ ছেড়ে যাওয়ার আগে নামের পাশে যোগ করেছেন ১২৭ রান। যা সংগ্রহে তিনি চার মেরেছেন ১১টি ও ৬ চারটি। ১০২ দশমিক ৪১ স্ট্রাইক রেটে তিনি এ রান তুলেছেন।

এর মধ্য দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়া লিগে তিন বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশি। তার সব শেষ শতকটি এসেছিল ২০১৭ সালে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে।

আবাহনীর হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন মোসাদ্দে হোসেন সৈকত। আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটে ১৫ বল থেকে এসেছে ৩৯ রান।

তাদের এই সংগ্রহের ওপর ভর করেই ৭ উইকেটে ২৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আকাশী নীল জার্সিধারীরা। পারটেক্সের হয়ে বল হাতে জয়নুল ইসলাম তিনটি, তাসামুল হক দুটি, শাহবাজ চৌহান ও রনি হোসেন নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

জয়ের জন্য ২৯০ রানের ব্যাটিংয়ে নামা পারটেক্সও শুরুটা যাচ্ছেতাই রকমের করেছে। মেহেদি রানা ও তাইজুল ইসলামের পেস ও স্পিন ঘূর্ণিতে নাকাল হয়ে ১১০ রান তুলতেই হারিয়েছে টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। তবে শুরুর ধাক্কায় দলটির জাত বাঁচিয়েছেন ষষ্ঠ উইকেটে নামা ধীমান ঘোষ ও নাজমুল হোসেন মিলন। তাদের ৪৯ রানের জুটিতে ৪৮ দশমিক ৪ ওভারে সবক’টি উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রানে সংগ্রহে সক্ষম হয়। সেটা না হলে হয়ত দেড়শ রানের কোটাও স্পর্শ করা হত না!

পারটেক্স স্পোর্টিংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছেন নাজমুল হোসেন মিলন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে অধিনায়ক তাসামুল হকের ব্যাট থেকে। আর ধীমান ঘোষ খেলেছেন ৩৬ রানের ইনিংস।

আবাহনীর হয়ে বল হাতে মেহেদি হাসান রানা চারটি, তাইজুল ইসলাম দুটি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দে হোসেন সৈকত, আরাফাত সানি ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

আবাহনী ক্রিকেট বল মুশি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর