Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু নিয়ে ভুল তথ্য ওয়ার্ল্ডমিটারে


১৭ মার্চ ২০২০ ২৩:৫০

ঢাকা: বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন বলে তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের তথ্য সার্বক্ষণিক প্রদর্শন করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডমিটার। তবে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, এ তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। ওয়ার্ল্ডমিটারে যে তরুণীর মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে, তিনি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় ভুগছিলেন। তার শরীরে জ্বর থাকলেও করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল। পরে ওয়ার্ল্ডমিটারও তাদের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে একজনের মৃত্যুর তথ্যটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাতে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা সারাবাংলাকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তিন জন। এখন সাত জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে কেউ মারা যাননি।

আরও পড়ুন- ঢামেকে কানাডাফেরত তরুণীর মৃত্যু, করোনা সন্দেহে অবহেলার অভিযোগ

ওয়ার্ল্ডমিটার কানাডা ফেরত এক তরুণীর মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. ফ্লোরা বলেন, ওই তরুণী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। তিনি কয়েকদিন আগে কানাডা থেকে দেশে ফিরেছিলেন। তার শরীরে জ্বর ছিল। সে কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তার পিসিআর পরীক্ষাও করানো হয়। তবে সে পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল। অর্থাৎ তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না।

এর আগে, ওয়ার্ল্ডমিটারের দেশভিত্তিক করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত একজন মারা গেছেন বলে দেখানো হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে নতুন দুই জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে এবং একজন মারা গেছেন। যিনি মারা গেছেন, তিনি একজন তরুণী। কয়েকদিন আগে তিনি করোনাভাইরাসের মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ায় কানাডা থেকে নিজ দেশে ফিরেছিলেন। পরে ওয়ার্ল্ডমিটারের সংশ্লিষ্ট পেজে বাংলাদেশের তথ্যটি হালনাগাদ করে নেয়। সেখানে এখন বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো মৃত্যুর ঘটনা দেখাচ্ছে না।

কানাডা ফেরত ওই তরুণীর নাম নাজমা আমিন। তিনি কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতেন। ৯ মার্চ দেশে ফেরার পর তিনি পেটের পীড়ায় ভুগছিলেন। ১৩ মার্চ তাকে মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা জানান, তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করতে হবে এবং সেখানে সে সুবিধা নেই। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পরদিন শনিবার সকালে সংশ্লিষ্টরা জানতে পারেন, তিনি কয়েকদিন আগেই কানাডা থেকে ফিরেছেন। ওই সময় তার জ্বরও ছিল। এ তথ্যে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা ধরেই নেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, এসময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মেয়েটিকে কেউ চিকিৎসা দিতে রাজি হননি।

ওই সময় সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ বি এম জামালও স্বীকার করে নেন, কানাডা ফেরত মেয়েটিকে নিয়ে সাময়িকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে জ্বর থাকায় আইইডিসিআরের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করে তার রক্ত পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষার ফলও নেগেটিভ এসেছিল।

ওয়ার্ল্ডমিটার করোনাভাইরাস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর