করোনাভাইরাস: সবচেয়ে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
১৮ মার্চ ২০২০ ১০:০০
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাসের কারণে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারিতে বুধবার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত এক লাখ ৯৮ হাজার ৪১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৯৮৪ জনের। এছাড়াও, চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন ৮২ হাজার ৭৬২ জন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর বিবিসি।
এদিকে হংকং, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুরের অবস্থা সঙ্গিন বলে জানিয়েছে দেশগুলোতে সীমিত আকারে কাজ চালিয়ে যাওয়া গণমাধ্যমগুলো।
মালয়েশিয়া লকডাউন
সোমবার (১৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর এক ঘোষণার মাধ্যমে সমগ্র মালয়েশিয়া লকডাউন করে রাখা হয়েছে। এসময় দেশের ভেতরে এবং বাইরে সকল ধরনের ভ্রমণ থেকে মালয়েশিয়ানরা বিরত থাকবেন। দেশটির সরকারি বার্তাসংস্থা বার্নামা নিউজ এজেন্সি জানাচ্ছে, বাইরে থেকে কেউ মালয়েশিয়ায় গেলে তাকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনে থাকতে হচ্ছে।
এক টুইটার বার্তায় মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ রোগে মালয়েশিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫৩। তার মধ্যে সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানী কুয়ালালামপুরের কাছাকাছি একটি মসজিদ থেকে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯০ জন। তারপর সকল ধরনের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জন সমাগম নিষিদ্ধ রয়েছে।
সিঙ্গাপুরে খাদ্য মজুত শেষ হওয়ার গুজব
সিঙ্গাপুরের প্রয়োজনীয় মোট খাদ্যদ্রব্যের শতকরা ৯০ ভাগ আমদানি নির্ভর। সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস আতঙ্কে ক্রেতারা সব পণ্য বাজার থেকে কিনে ফেলছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সব খাদ্য মজুত শেষ হয়ে গেছে বলে জোর গুজব উঠেছে। দেশটির শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী চ্যান চুন সিং এক টেলিভিশন বার্তায় জানিয়েছেন, পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। সিঙ্গাপুরের খাদ্য মজুতে কোনো সমস্যা নেই।
ফিলিপাইন লকডাউন
ফিলিপাইনের অর্ধেক নাগরিককে কমিউনিটি কোয়ারেনটাইনের আওতায় আনা হয়েছে। কোয়ারেনটাইনের সরকারি নির্দেশনা সবাই মেনে চলছেন কী না – তা তদারকে কাজ করছে ৭০ হাজার পুলিশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে ফিলিপাইনে ১৪০ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
থাইল্যান্ডে নববর্ষের উৎসব বাতিল
থাইল্যান্ডের একটি বক্সিং খেলার আয়োজন থেকে একদিনেই ৩৩ জন আক্রান্ত হওয়ার পর, থাইল্যান্ডের মন্ত্রিপরিষদ জরুরি বৈঠক ডেকে সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি এপ্রিলে দেশটির নববর্ষের আয়োজনও বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।