করোনা প্রতিরোধে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে: নাসিম
২০ মার্চ ২০২০ ০০:১৬
ঢাকা: আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে তাদের আটক করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন উদারতা ও দয়া-মায়া দেখানো যাবে না। কারণ তাদের কারণে ভাইরাসটি দেশে ছড়িয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিদেশ থেকে করোনা শনাক্তকরণ কিট ও ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষার জন্য পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) আনার ব্যবস্থা করার আহ্বন জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সারাবিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আতঙ্ক বাংলাদেশকে আঘাত করেছে। করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। এই প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই। দেশে পর্যাপ্ত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট নেই। এ কারণে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়নি। ঢাকার আইইডিসিআর এই একটি জায়গায় রোগ শনাক্ত করার কেন্দ্র আছে। রোগ শনাক্তকরণ কেন্দ্র আরো কয়েকটি করতে হবে। কিটও বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে পাঠাতে হবে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারি ও অভিজ্ঞ বেসরকারি ডাক্তারদের কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবার সঙ্গে জড়িত ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের কেউ যেন সংক্রমিত না হন, সেজন্য তাদের প্রত্যেকের জন্য পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দিতে হবে। দেশে পর্যাপ্ত পিপিই না থাকার কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ডাক্তাররা। আমি মনে করি, অবিলম্বে প্রয়োজনে বিশেষ বিমানে করে চীন, ভিয়েতনামসহ যেসব দেশে স্বাস্থ্য উপকরণ আছে সেসব দেশ থেকে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
যেখানে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, অর্থের কোন সমস্যা হবে না, সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি উদ্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় দ্রুত কিট ও পিপিই আনা উচিত। এক্ষেত্রে সময়ক্ষেপনের সুযোগ নেই। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই লকডাউন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, সাম্যবাদী দলের সাধারন সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরক্রিম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাসদের মোহসিন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।