ঢাকা: দেশের স্বার্থেই সরকারি আদেশ প্রতিপালনের জন্য রাজধানীর দিয়াবাড়িতে কোয়ারেনটাইন ক্যাম্পের দায়িত্ব সেনাবাহিনী নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ।
এ কোয়ারেনটাইন ক্যাম্প নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত বা প্যানিক না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আইএসপিআর পরিচালক।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের সবার জন্য সচেতন হওয়া বেশি দরকার। প্যানিক হওয়া বা আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার চেয়ে এটিকে ডিসিপ্লিনের মধ্যে রাখতে পারলে এটির সমাধান আসতে পারে।’
আরও পড়ুন: কোয়ারেনটাইনে রোগী আনা ঠেকাতে সড়ক অবরোধ
এদিকে ওই এলাকায় কোয়ারেনটাইন ক্যাম্প না করার জন্য স্থানীয়রা শুক্রবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। স্থানীয়দের দাবি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়ারেনটাইন ক্যাম্প হলে তাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে।
স্থানীয়দের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে আইএসপিআর পরিচালক বলেন, ‘কারা এখানে অবরোধ করেছেন বা বিক্ষোভ করেছেন তা আমার জানা নেই। তবে যতটুকু জেনেছি, স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এটির বিরোধিতা করছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এটি বোঝানোর চেষ্টা করছেন। আশা করছি, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। মনে হয় না এটি বড় কোনো ইস্যু হবে।’
স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে দায়িত্ব অর্পণ করেছে। সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আছে দেখেই সেনাবাহিনীকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপরও কারও কোনো বক্তব্য থাকলে তারা আলোচনা করতে পারেন।’
আইএসপিআর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কোয়ারেনটাইন ক্যাম্প হবে। যেখানে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদেরকে প্রথমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিকেল টিম হেলথ চেকআপ করবেন। যাদের সন্দেহভাজন মনে হবে তাদের সেনাবাহিনীর কাছে দেওয়া হবে। সেনাবাহিনী তাদের এই কোয়ারেনটাইন ক্যাম্পে নিয়ে আসবে। তবে তার আগে সেনাবাহিনী তাদের ডাটা এন্ট্রি করবে।’
কোয়ারেনটাইন ক্যাম্পে তাদের বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাগুলো সেনাবাহিনী নিশ্চিত করবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ যারা আছেন তারাও সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। মূল কারণটি হচ্ছে জনগণের আস্থার এই জায়গায় দেশের বৃহত্তম স্বার্থে সবাইকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী দায়িত্ব নিয়েছে।’
আইএসপিআর পরিচালক বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারি আদেশ প্রতিপালনের দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। এটি একটি কোয়ারেনটাইন ক্যাম্প, এটি কোনো আইসোলেশন ক্যাম্প নয়।’