পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা মামলার প্রতিবেদন ১৯ মে
২৪ মার্চ ২০২০ ১৪:১৫
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে পুলিশ লাইন মাঠে নিজের নামে ইস্যু হওয়া অস্ত্র দিয়ে আবদুল কুদ্দুস (৩১) নামের এক পুলিশ সদস্য আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের মামলার দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ১৯ মে নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
নিজের অস্ত্র দিয়ে পুলিশের সদস্যের আত্মহত্যা
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি আবদুল কুদ্দুসের মা সৈয়দা হেলেনা খাতুন কুদ্দুসের স্ত্রী সৈয়দা হাবিবুন্নাহার ওরফে নাহিন ও তার শাশুড়ি রুনিয়া বেগমকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
ওই দিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী সৈয়দা হাবিবুন্নাহার ওরফে নাহিন এবং শাশুড়ি রুনিয়া বেগম।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী সৈয়দা হাবিবুন্নাহার ওরফে নাহিন পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। সারাক্ষণ ফোনে কথা বলতেন। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সালিশ হয়। পরে সমঝোতা হয়। কিন্তু নাহিন এরপরও পরকীয়া চালিয়ে যায়। আবদুল কুদ্দুস তার শাশুড়িকে এ বিষয়ে জানালে ভিকটিমের পরিবারকে নারী নির্যাতনের মামলার ভয় দেখায় এবং চাকরি হারানোর ভয় দেখায়। মূলত তাদের কারণে আবদুল কুদ্দুস আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়।
এরআগে গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর মিরপুর পুলিশলাইনে আবদুল কুদ্দুস নিজের রাইফেল দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র নিয়ে ডিউটির জন্য বের হন। পরে পুলিশলাইনের মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করেন। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জের রসুলপুরে। বাবার নাম শাহ মো. আবদুল ওয়াহাব (মৃত)।
মৃত্যুর আগে ওই পুলিশ সদস্য ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। ওই স্ট্যাটাসে নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী না করলেও তবে তার স্ত্রী ও শাশুড়ির নামে ভিন্নকথা লিখেন।
সারাবাংলা/এআই/এমআই