কাজ না থাকলে ছুটির সময়ে কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান বিকেএমইএর
২৫ মার্চ ২০২০ ১৭:১৫
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: শ্রমিকদের সুবিধার্থে ২৬ ও ২৭ মার্চ দুদিন দেশের নিটওয়্যার খাতের কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে দেশের নিটওয়্যার খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ।
করোনাভাইরাসে নিটওয়্যার খাতে করণীয় বিষয়ে বিকেএমইএ সদস্যদের কাছে বুধবার (২৫ মার্চ) পাঠানো এক পরামর্শপত্র পাঠানো হয়।
ওই পত্রে বলা হয়েছে, ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস সরকারি ছুটি এবং ২৭ মার্চ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায়, ওই দুদিন শ্রমিকদের সুবিধার্থে (বিশেষ করে তাদের বাজার, ঔষধপত্র ক্রয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজের কারণে) সম্ভব হলে আপনার কারখানা বন্ধ রাখার জন্য আমরা সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।’ একইসঙ্গে যথাসময়ে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধের ব্যাপারে এখনই কারখানা মালিকদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
মালিকদের কাছে পাঠানো পরামর্শপত্রে বলা হয়, ‘আপনার প্রতিষ্ঠানের একজন শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে, আপনার পুরো প্রতিষ্ঠানকে এমনকি আপনার আশে-পাশের ফ্যাক্টরিসমূহ তথা পুরো এলাকাকে লকডাউন করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা আরও বেশি বিপদগ্রস্থ হব। একইসঙ্গে কারখানা ছুটিকালীন সময়ে আপনার কারখানার শ্রমিকরা যে যেখানে অবস্থান করছে সে যেন সেখানেই অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদেরকে বুঝাতে হবে, এটা কোনো ঈদ বা উৎসবের ছুটি নয়। তাই যে যেখানে অবস্থান করে, তাকে সেখানেই থাকতে হবে। রফতানি কার্যাদেশ বা এ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম না থাকলে ফ্যাক্টরি চালানোর কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ জনসমাগম যত কম হবে, ততই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমবে। তাই অপ্রয়োজনে কারখানায় শ্রমিক এনে হাজিরা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
বিকেমেইএ সভাপতি সেলিম ওসমানের পাঠানো ওই পরামর্শ আরও বলা হয়, ‘ইতোমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত কার্যালয় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের জানা তথ্য মতে অনেক প্রতিষ্ঠানও সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাই আপনার প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট কাজ না থাকলে আপনিও ইচ্ছে করলে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আপনার কারখানা বন্ধ রাখাতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রেও কারখানার শ্রমিক-কর্মকর্তার বেতন-ভাতা সময়মতো প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে আপনি ক্ষতিগ্রস্থ না হওয়ার জন্য প্রয়োজনে ইচ্ছে হলে নিটিং, ডায়িং ক্লোজ করে সীমিতআকারে আপনার ফ্যাক্টরি পরিচালনা করতে পারেন। এক্ষেত্রেও করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই