Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আতঙ্ক রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও


২৬ মার্চ ২০২০ ১৭:৩৯

কক্সবাজার: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজার নিস্তব্ধ হলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো বরাবরই ঝুঁকিতে রয়েছে। ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের অবাধে চলাফেরা এবং মানবিক সেবায় এনজিও-আইএনজি’র দেশি-বিদেশি লোকজনের অবস্থান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ হতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সেবা কার্যক্রম সীমিত করা হলেও স্থানীয়দের পাশাপাশি আতঙ্কে রয়েছেন ঘনবসতিতে থাকা রোহিঙ্গারা।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ৩৪টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে অনেকটা গাদাগাদি করে বসবাস করছে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা। ঘনবসতি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং বিদেশিদের আনাগোনার কারণে এসব ক্যাম্পে রয়েছে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি। ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক সেবা দিতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছে প্রায় এক হাজার ২০০ জন বিদেশি ও প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি।

এদিকে ২৫ মার্চ থেকে সেবা কার্যক্রম সীমিত করার ঘোষণা এলেও এতদিন পর্যন্ত এই বিপুল সংখ্যক মানুষ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবাধে চলাচল করেছে। সেখানে রোহিঙ্গা ও দেশি-বিদেশি এনজিও সংস্থার লোকজনের চলাফেরার এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কের কথা জানান রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গারা বলছেন ক্যাম্পগুলো আপাততে বিদেশি লোকসহ জরুরি কাজ ছাড়া কোনো বহিরাগত না আসুক। এলেও তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পাঠানো হোক।

কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রাবেয়া আক্তার জানান, দেশি-বিদেশি যেসব লোক ক্যাম্পে আসছে তাদের পরীক্ষা করে ঢুকাতে হবে। প্রয়োজনে কিছুদিনের জন্য তাদের আসা বন্ধ করে দিতে হবে।

লম্বাসিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লিয়াকত মিয়া জানান, বেশির ভাগ রোহিঙ্গা করোনাভাইরাস সর্ম্পকে জানে না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক কাল্পনিক ধারণা রয়েছে। তাই ক্যাম্পে প্রচারণা বাড়ানো দরকার।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, উখিয়ায় স্বল্প জায়গায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ ১০ লক্ষাধিক মানুষের অবস্থান। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তায় দেশি-বিদেশি সংস্থাসহ অনেক মানুষ কাজ করছে। এছাড়াও নানা কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্প খুব ঝুঁকিপূর্ণ। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পর্যাপ্ত হাসপাতাল ও আইসোলেশনের ব্যবস্থাসহ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও শঙ্কিত থাকার কথা জানান এ কর্মকর্তা।

এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, ভারত থেকে এক পরিবারের চারজন ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা একজনসহ মোট পাঁচজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০ শয্যার স্পেশাল হাসপাতালের কাজ চলছে। বাইরে থেকে আসা কোনো বিদেশিকে ক্যাম্পে যেতে দেওয়া হবে না। সীমিতভাবে মানবিক সেবা কার্যক্রম যারা চালাচ্ছে তা; করছে তাদেরও সতর্কতার সঙ্গে চলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

করোনা করোনাভাইরাস রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা ক্যাম্প

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর