আইসোলেশনের জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত হলেও পৌঁছায়নি ওষুধ-সরঞ্জাম
২৭ মার্চ ২০২০ ১৭:৪৩
বগুড়া: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ রোগীদের আইসোলেশন ইউনিট বগুড়া সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ১২০ জনের জন্য প্রস্তুত। দু’একদিনের মধ্যে আরও ৬০ শয্যা প্রস্তুত করা হবে। তবে হাসপাতাল প্রস্তুত হলে সরকার থেকে ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম এখনও এসেছে পৌঁছায়নি। ফলে এখনই রোগীদের সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এখানে।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, হাসপাতাল থেকে পিপিই, নেবুলাইজার, ডিজিটাল এক্সরে, আইসিইউ, বায়োকেমিকেল এনালাইজার, ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শুধু ১০০ পিপিই পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের মৌখিক নির্দেশনায় হাসপাতাল প্রস্তুত করা হলেও পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এখানে রোগী ভর্তি শুরু করা হয়নি।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে দু’টি শয্যার মধ্যে প্রায় ২ মিটার দূরত্ব রাখা বাধ্যতামূলক হওয়ায় শয্যা সংখ্যা কিছুটা কমেছে। নতুন ভবনে আরও ৬০ জনের জন্য বেড প্রস্তুত করা হবে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘১২০ জনের জন্য করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৩০ জনের একটি চিকিৎসক প্যানেল করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করার পর ওইসব চিকিৎসক এবং নার্সদের ১০ দিনের হোম কোয়ারেনটাইনে থাকার বিধান রাখা হয়েছে। মোহাম্মদ আলী ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের ওই প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্সসহ অন্যান্য স্টাফদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চিকিৎসক জানান, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুবিধা বেশি থাকলেও সেখানে আইসোলেশন কেন্দ্র করা হয়নি। যান্ত্রিক সুবিধা, ভবন সুবিধা এবং ডাক্তার নার্স সবই পর্যাপ্ত আছে সেখানে। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আইসোলেশনের জন্য নতুন করে অনেক সেটআপ করতে হবে।
বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসুল আজিম চৌধুরী জানান, ১২টি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইউএনও হাসপাতালগুলো আইসোলুশনের জন্য প্রস্তুত করছে। তবে চিকিৎসা সরঞ্জাম এখনও না পৌঁছানোর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।