‘চট্টগ্রামে মৃত নারী ও কিশোর করোনা সংক্রমিত ছিল না’
১ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৩৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া নারী ও কিশোরের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া এবং চট্টগ্রাম জেনারলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ পৃথকভাবে মৃত দু’জনের শরীরের নমুনা প্রতিবেদনের এই ফলাফল জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ- বিআইটিআইডিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৫৫ বছর বয়সী এক নারী। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা কিশোর মারা যায় বুধবার সকাল সোয়া ৭টায়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, মৃত নারীর নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে ওই নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। রাতেই ওই নারী মারা যান। মৃত্যুর পর বিআইটিআইডিতে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার নমুনা পরীক্ষার ‘নেগেটিভ’ ফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
এদিকে সকালে মারা যাওয়া কিশোরের নমুনা প্রতিবেদন বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাতে পান চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘নমুনা প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি নেগেটিভ বলা হয়েছে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কিশোরটির।’
নিউমোনিয়ার উপসর্গ ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোর। মঙ্গলবার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে সে। রাতে তাকে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে আইসোলেশান ইউনিটে রাখা হয়।
বুধবার সকালে মারা যাওয়ার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। ছেলের মৃত্যুর পর তার বাবার নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এছাড়া বাবাকেও একই হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে।