১০ তারিখ পর্যন্ত ছুটি দেওয়ার আহ্বান বিকেএমইএর
৪ এপ্রিল ২০২০ ২০:৫৯
ঢাকা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পোশাক কারখানার ছুটি ১০ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নিট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ)।
শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান সংগঠনটির প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
বিকেএমইএর এ নেতা বলেন, ‘পোশাক শিল্পের মালিকবৃন্দের প্রতি অনুরোধ থাকবে, যদি আপনাদের সুযোগ থাকে তাহলে সরকার যেহেতু ৯ তারিখ পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছে আপনারাও শ্রম আইনের যে কোনো ধারা প্রয়োগ করে লে অফের ধারা হোক বা এমনিতে হোক, এই ছুটি ১০ তারিখ পর্যন্ত ইচ্ছে করলে বাড়িয়ে দিতে পারেন। তাহলে আমাদের বিশ্বাস মহামারি করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে কিছুটা হলেও আপনারা নিরাপদ থাকবেন।’
ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘দেশের পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ছিল না। পরবর্তীতে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেখানেও কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে গার্মেন্টস কারখানা খোলা রাখারই নির্দেশনা ছিল। বিকেএমইএ ও বিজিএমইএর অবস্থান শুরু থেকে এমনই ছিল। একটা পর্যায়ে বিকেএমইএর একটা নির্দেশনায় ৪ তারিখ পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত যদিও দেওয়া হয়েছিল, তারপরও জরুরী প্রয়োজনে ফ্যাক্টরি খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। আগামীকাল থেকে যেহেতু ফ্যাক্টরিগুলো খোলা হচ্ছে বলা হচ্ছে সেক্ষেত্রে শ্রমিকরা দূর দূরান্ত থেকে ফিরে আসছে এমন সংবাদ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এসেছে।’
‘এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের তাদের স্ব স্ব অবস্থানে অবস্থান করার কথা বলা হয়েছিল। তাদের দেশের বাড়িতে ফিরে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। আমরা চাই না কোনোভাবেই করোনাভাইরাস মহামারি রূপ নিক, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ুক। ফ্যাক্টরি কিন্তু আমরা সতর্কতার সঙ্গে চালিয়েছি। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে আমরা কিন্তু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। কারখানায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।’
এদিকে বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত সকল নিট পোশাক কারখানা আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’