করোনায় ‘লকডাউন’, খাদ্য সংকটে পোষা পাখি ও প্রাণীরা
১২ এপ্রিল ২০২০ ০৮:৪০
ঢাকা: করোনার আগ্রাসী আক্রমণ ঠেকাতে চলছে সাধারণ ছুটি। তবে ছুটিতে চলছে না গণপরিবহন। বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন মার্কেটও বন্ধ হয়ে গেছে। বলতে গেলে পুরো দেশে চলছে ‘লকডাউন’। তবে সীমিত আকারে হাট-বাজার চালু রয়েছে। আর পুরোপুরি চালু রয়েছে জরুরি সেবা। কিন্তু দোকানপাট বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে পোষা পাখি ও প্রাণী পালকরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের আদরের পাখি ও প্রাণীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাদ্য সংগ্রহ করতে পারছেন না।
এমন পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সারাবাংলাকে বলেন, ‘এরই মধ্যে আমি কাঁটাবন মার্কেট পরিদর্শন করে বলেছি যে, পোষা পাখি ও প্রাণীর প্রতি কোনো ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করা যাবে না। তাদের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাঁটাবনের মার্কেট প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছি।’
মন্ত্রীকে জানানো হয় যে, কাঁটাবন ছাড়াও কাপ্তান বাজার, ফুলবাড়িয়াসহ শহরের স্বীকৃত বাজারগুলোতে পোষা পাখি ও প্রাণীদের খাবার দোকান রয়েছে। এসব খাবার দোকানগুলো সীমিত আকারে খোলা রাখলে চলমান দুঃসময়ে খাদ্য সংকট দূর করা যায়। এ ছাড়া শুধুমাত্র কাঁটাবন মার্কেট থেকে চলমান পরিস্থিতিতে শহরের সব প্রান্ত থেকে পোষা পাখি ও প্রাণী পালকদের পক্ষে খাদ্য সংগ্রহ করা সম্ভব না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। যাতে সকল স্বীকৃত বাজারে পোষা পাখি ও প্রাণীদের খাবারের দোকানগুলোও বাজারের সময়সূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খোলা রাখা হয়।’
সূত্রাপুর অঞ্চলের পাখি পালক মো. শাকিল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি বিদেশি পাখি পুষি। এদের খাবার কাপ্তান বাজার থেকে কিনে থাকি। কিন্তু কাপ্তান বাজারে গিয়ে দেখি অনেক দোকান-পাট খোলা থাকলেও পাখির খাবারের দোকান বন্ধ।’
এই প্রতিবেদক মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) কাপ্তানবাজার এবং ফুলবাড়িয়ার পোষা পাখি ও প্রাণীদের খাবারের দোকান সরেজমিন ঘুরে দেখেন যে, দোকান সবগুলোই বন্ধ।
কাপ্তানবাজার এবং ফুলবাড়িয়ার একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, প্রশাসনের লোকজন এসে দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। তাই আমরা খুলতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, এর আগে ৬ এপ্রিল (সোমবার) রাজধানীর কাঁটাবনে ফিশ ও পেট এনিমেল মার্কেট পরিদর্শনে গিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে পোষা পাখি ও প্রাণীর প্রতি কোন ধরণের নিষ্ঠুর আচরণ করা যাবে না। পোষা পাখি ও প্রাণির প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা ফৌজদারী অপরাধ। এই সময়ে পোষা পাখি ও প্রাণীর প্রতি যত্নবান হতে হবে।’