চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির নির্দেশ
১১ এপ্রিল ২০২০ ১৯:১৪
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এর প্রেক্ষাপটে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১০ টাকা কেজি মূল্যে ওএমএস’র চাল বিক্রি হচ্ছে। এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ওএমএস’র চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি।
শনিবার (১১ এপ্রিল) দেশের সব জেলা প্রশাসক ( ডিসি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (আরসি ফুড) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বর্তমানে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও এর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেন। ওই পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত ওএমএস খাতে চালের মূল্য কেজিপ্রতি ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় সরকার কর্তৃক জারিকৃত সাধারণ ছুটির কারণে গৃহে অবস্থানকারী সাধারণ শ্রমজীবী, দিনমজুর, রিক্সাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহণ শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে ও অন্যান্য সকল কর্মহীন মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম গ্রহণ করে। এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী বিভাগীয় ও জেলাশহর এবং জেলাশহর বহির্ভূত পৌরসভাগুলোতে প্রতি সপ্তাহে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রি কার্যক্রম চালু রাখার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পৌরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধির উপস্থিতি/ তদারকিতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার মাত্র ৫ (পাঁচ) কেজি চাল কিনতে পারবে। নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবীদের বসবাস কেন্দ্রের নিকটস্থ বস্তি এলাকায় অথবা পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে এমন স্থানগুলোকে ওএমএস’র অস্থায়ী বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।
চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ইদানিং কিছু পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, কতিপয় ব্যক্তি ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করছে। যা এই কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি খাদ্যবান্ধব ওএমএস কার্যক্রমে যেকোনো প্রকার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কঠোর শাস্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেন।
কালোবাজারি খাদ্যমন্ত্রী চাল শাস্তির নির্দেশ সাধন চন্দ্র মজুমদার