সংঘর্ষের পর কাটা পা নিয়ে মিছিল করায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৪২
১৩ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৩৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: লকডাউন ভেঙে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার থানাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে আনন্দ মিছিলের ঘটনায় ৪২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুর থেকে সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে সংঘর্ষের ‘প্রধান দুই হোতা’ কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লাও রয়েছেন। আবু কাউসার মোল্লাকে রোববার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বায়েক এলাকা এবং জিল্লুর রহমানকে সোমবার ভোরে রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঙ্গে থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লার বিরোধ চলে আসছিল। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলা এ বিরোধের জেরে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার (৪৫) এক পা কেটে নিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা। ওই মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। এ ছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ৪২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।